করোনা মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যে দৃঢ় অংশীদারিত্বের ওপর জোর দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। বুধবার জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পোর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময়ে মন্ত্রী একথা বলেন।
তৈরি পোশাক শিল্প ও রেমিট্যান্সের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, ‘যেসব বাংলাদেশি ফেরত আসবে, তাদের নতুন দক্ষতা সৃষ্টি, নতুন চাকরি ও সমাজে নতুন করে আত্নীকরণের জন্য জাতিসংঘ কাজ করতে পারে। বাংলাদেশের বৃহৎ জনসংখ্যার কথা বিবেচনা করে জাতিসংঘের রেসপন্স ও রিকোভারি তহবিল থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমান বরাদ্দ আশা করেন মন্ত্রী।’
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সহযোগিতার জন্য জাতিসংঘকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় কোনও অগ্রগতি না হওয়ায় রোহিঙ্গারা সুমদ্রে ও স্থলপথে বিপদসংকুল যাত্রা করছে, যার পরিণতি হচ্ছে ভয়াবহ।’ তিনি রাখাইনে প্রত্যাবাসন সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।
আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর আর্থ-সামাজিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার জন্য জাতিসংঘ বাংলাদেশকে সার্বিক সহায়তা দেবে।’ রোহিঙ্গা বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আরও গঠনমূলক কাজ করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন সেপ্পো।