মিনহাজ দিপু, খুলনা প্রতিনিধিঃ উপকূলীয় এলাকার জনগনের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর ও স্বাধীনতার পর কয়রা ও পাইকগাছা এলাকায় সব থেকে বেশি উন্নয়ন মূলক কাজ বাস্তবায়ন করায় এবং উপকূলীয় পরিবেশ সুরক্ষা ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখায় কয়রা সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ হতে কয়রা উপজেলার গুনিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য মো.আক্তারুজ্জামান বাবু কে উপকূল বন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে।
“কয়রা সাংবাদিক ফোরাম গুনিজন সংবর্ধনা-২০২৩” অনুষ্ঠানে সমাজের ৩২০ জন বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে সুন্দরবন বালিকা বিদ্যালয় অডিটরিয়ামে উপজেলার ৮০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তাদের হাতে সম্মাননা স্বারক ও সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।অনুষ্ঠানে উপকূল এলাকায় স্বাধীনতার পর বেশি উন্নয়ন মূলক কাজ বাস্তবায়ন এবং উপকূলীয় পরিবেশ সুরক্ষা ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখা,১১৭৬ কোটি টাকার টেকসই ভেরিবাঁধ নির্মাণ,১৮ মাইল হতে কয়রা পর্যন্ত ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা উন্নয়ন,গোলখালীতে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ,৯ হাজারের বেশি পানির ট্যাংক বিতরণ সহ সহস্র উন্নয়ন মূলক কাজ করায় সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু কে উপকূল বন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়।এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত গুনীব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা সর্বসম্মতিতে সংসদ সদস্য মো.আক্তারুজ্জাম বাবু’র অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠনের বক্তব্যে ইয়াং মুসলিম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো.রোকনুজ্জামান বলেন,উপজেলার গোবরা -২নং কয়রা এলাকার ভেরিবাঁধ বারবার ভেঙে কয়রা সদর প্লাবিত হয়।সেখানে এমপি বাবু উদ্যোগ নিয়ে টেকসই বাঁধ করায় আমরা আর আতঙ্কে থাকি না।এলাকার মানুষ এখন ধান চাষের পাশাপাশি সবজি চাষ করে সাবলম্বী হচ্ছে।আমাদের এলাকার মূল সমস্যা ছিল ভেরিবাঁধ, এমপি বাবুর আন্তরিকতায় আমরা লোনা পানিতে বারবার প্লাবিত হওয়ার হাত হতে রক্ষা পেয়েছি।
কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাহিত্যিক আ.ব.ম মালেক। তিনি বলেন,আমাদের এমপি মহোদয়ের আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ, এত ভাল একজন এমপি আমরা আগে পাইনি। তিনি দায়িক্ত গ্রহণের পর থেকে এলাকায় টেকসই ভেরিবাঁধ সহ সহস্র উন্নয়ন মূলক কাজ বাস্তবায়ন করেছে যা আগে কখনও হতে দেখেনি।
শিক্ষাবিদ এবিএম ইমতিয়াজ উদ্দীন বলেন,জীবনে শেষ বয়সে এসে আমাকে মূল্যয়ন করে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা পাওয়া আমার জীবনে সেরা পাওয়া।এমপি মহোদয় এলাকায় যে ভাল কাজ করছেন তারই একটা অংশ এই গুনিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
গুনিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য মো.আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন,গুনিজদের নিয়ে এমন আয়োজন কয়রায় ইতিপূর্বে হতে দেখেনি।গুনিজনদের সম্মানিত করায় তাঁরা আরো বেশি ভাল কাজ করার অনুপ্রেরণা পাবেন।গুণী ব্যক্তিদের গুণগান না গাইলে, সম্মান না করলে গুণী তৈরি হয় না।মানুষ যখন ভাল কাজের প্রতিদান পাবে তখন অবশ্যই তারা ভাল কাজে উৎসাহিত হবে।
আমাদের সমাজে অনেক গুণীব্যক্তি আছেন, আমরা তাদের বেঁচে থাকতে সম্মান জানাই না, প্রশংসাও করি না। যখন সেই গুণী ব্যক্তি আমাদের কাছ থেকে চিরবিদায় নেয়, তখনই যেন আমরা তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠি।গুনিজনদের সম্মাননা জানানো তাঁদের কাজের মূল্যায়নের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকেও অনুপ্রেরণা যোগাবে। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গুনিজনদের ভূমিকা রাখতে হবে।
কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি তারিক লিটুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো.গোলাম মোস্তফার সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক দেশের কণ্ঠ ও ডেইলি এক্সপ্রেসের সম্পাদক মো.আলমগীর হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম বাহারুল ইসলাম,সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানী,জিয়াউল হক জুয়েল,আছের আলী মোড়ল,প্যানেল চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান,কয়রা সাংবাদিক ফোরামের উপদেষ্টা খায়রুল আলম,মো.হাফিজুর রহমান মিস্ত্রী,এস.এম জিয়াদ আলী,স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক আল আমিন ফরহাদ,কয়রা ইউনিয়নের পল্লী চিকিৎসকদের সংগঠনের সভাপতি মো.সুরাত,ইমাম পরিষদ কয়রা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাসুদুর রহমান,ছাত্রলীগ নেতা মো.শরিফুল ইসলাম টিংকু,আমিরুর রহমান বাদল,নিয়াজ মোর্শেদ আফরিক,শিক্ষক কবির হোসেন,ইউপি সদস্য আবু সাইদ সহ অনান্য ব্যক্তিবর্গ।