বাংলা এক্সপ্রেস ডেস্কঃ কক্সবাজারের চকরিয়ায় সন্ত্রাসীদের দেয়া আগুনে ২৬টি বসতঘর পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলে মারা গেছেন মনোয়ারা বেগম (৪৫) নামে এক নারী। গুরুতর আহত হয়েছেন তার স্বামী মোজাহের আহমদ।
ঘটনার সময় সন্ত্রাসীরা অর্ধশত রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে গৃহস্থের গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ঘরে থাকা ধান-চাল, নগদ টাকাসহ সব জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের খিলছাদেক এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা।
পুলিশ ও পত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এখানকার বাসিন্দারা মাতামুহুরী নদীর চরে নদী পয়েস্তী জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। এ সব নদী পয়েস্তী জমিতে গড়ে তোলা বসতভিটে জবরদখলের জন্য পার্শ্ববর্তী বরইতলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর পহরচাঁদা এলাকার ৪০-৫০ জন উচ্ছৃংখল লোক নদী পার হয়ে এসে সশস্ত্র হামলা চালায়।
এ সময় সন্ত্রাসীরা অর্ধশত রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। অস্ত্রের মুখে ওইপাড়ার বাসিন্দাদের ঘরে ঘরে গিয়ে লুটপাট চালায়। তারা ওইপাড়ার বাড়িঘর থেকে নগদ টাকা, ধান-চাল, গরু-ছাগল ও জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরে ঘরে ঘরে আগুন লাগিয়ে দিলে ২৬টি বসতঘর পুড়ে যায়। এ সময় আগুনে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান মনোয়ারা বেগম (৪৫) নামের এক নারী।
এ ঘটনায় নিহত মনোয়ারা বেগমের স্বামী মোজাহের আহমদসহ অন্তত ১০ জন কম-বেশি আহত হয়েছেন।
এ ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান চকরিয়া-পেকুয়ার এমপি জাফর আলাম এমএ ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামশুল তাবরীজ। সংসদ সদস্য জাফর আলম ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝ তাৎক্ষণিক খাদ্যসহ প্রয়োজনী সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে পুড়ে যাওয়া ঘরগুলো পুনঃনির্মাণ করে দেয়ারও আশ্বাস প্রদান করেন।
কৈয়ারবিল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, নদী পয়েস্তী খাসজমি জবরদখল করার লক্ষ্যে একদল সন্ত্রাসী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।