পটুয়াখালীর বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ও এসআই শেখ মো. জাহিদুল আলমকে এক লাখ টাকা ঘুষ না দেয়ায় একটি মামলার প্রধান আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চার্জশিট প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার বাউফল পৌরশহরের একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ওই চার্জশিটে প্রধান আসামির নাম অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মাহবুব আলম মোল্লা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নাজিরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মাহবুব আলম মোল্লা ও একই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জসীম আকন যৌথভাবে ঢাকায় প্লেনশিটের ব্যবসা করেন। ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ২৫ জানুয়ারি রাতে নাজিরপুর ছোট ডালিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছনে কতিপয় সন্ত্রাসী মাহবুব আলম মোল্লাকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় মাহবুব মোল্লার স্ত্রী শিলা বেগম বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, জসীম আকনের হুকুমে সন্ত্রাসীরা মাহবুব মোল্লাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
তদন্ত শেষে গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধান আসামি জসীম আকনের নাম বাদ দিয়ে বাকি ২ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
সাংবাদিক সম্মেলনে মামলার বাদী বলেন, তদন্তকালে বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ও এসআই জাহিদুল আলম তার কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ চান। এছাড়াও আসামি পক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে জসীম আকনকে চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দিয়েছে পুলিশ। পুনরায় তদন্ত করে চার্জশিটে প্রধান আসামির অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান মাহবুব মোল্লা।
ঘুষ দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার গাফিলতি থাকলে সম্পূরক চার্জশিট প্রদানের সুযোগ রয়েছে।
উৎসঃ যুগান্তর