আগামী সোমবার মধ্যপ্রাচ্যের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার ওমান ও বাহরাইনে ফ্লাইট চালু হচ্ছে। আরব আমিরাতের পর বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য এবার দ্বার খুলেছে ওমান ও বাহরাইন। শর্ত সাপেক্ষে কর্মী নিচ্ছে কাতারও। এই প্রেক্ষাপটে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ওমান এয়ার, সালাম এয়ার ও গালফ এয়ারকে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে সিভিল এভিয়েশন।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে কাতারের দোহা রুটে পুনরায় ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আবুধাবিতে বন্ধ করে দেয়া ফ্লাইট পুনরায় চালু করেছে বাংলাদেশ বিমান। এতে আবুধাবিগামীরা খুশি হলেও ফ্লাইট কম থাকায় কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় প্রবাসীরা। এদিকে যাত্রী ফেরতের বিড়ম্বনা এড়াতে আবুধাবি কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত প্রবাসীদের শুধু নিচ্ছে বিমান।
সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে বাহরাইন ও ওমান এয়ারলাইন্সকে ফ্লাইট চালানোর অনুমতি দিয়েছি। তারা আমাদের যাত্রীদের নেয়ার আগ্রহ দেখানোর কারণে খুলে দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ১৬ জুন থেকে আন্তর্জাতিক রুটে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চালুর পর শুরুতে শুধু বাংলাদেশ বিমান ও কাতার এয়ারওয়েজকে অনুমোদন দেয় সিভিল এভিয়েশন। এরপর কিছু দেশ বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও নানা শর্তের কারণে এখন পর্যন্ত মাত্র ১০টি গন্তব্যে ১২টি এয়ারলাইন্সের সরাসরি ফ্লাইট যাচ্ছে। ফলে করোনা মহামারিতে দেশে আসা মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের বড় অংশ এখনো কর্মস্থলে ফিরতে না পেরে চরম উৎকণ্ঠায় আছেন।যাত্রী ফেরত পাঠানোর পর আবুধাবিতে বন্ধ করে দেয়া ফ্লাইট পুনরায় চালু করেছে বাংলাদেশ বিমান। তবে শুধু আবুধাবির আইডেন্টিটি ও সিটিজেনশিপ অথরিটির গ্রিন সিগন্যাল ও ইমিগ্রেশন থেকে চূড়ান্তভাবে বোর্ডিং পাস পাওয়া যাত্রীরা যেতে পারবেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোকাব্বির হোসেন বলেন, কাতারে আমরা ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনটা ফ্লাইট অপারেট করবো। সেখানে কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে; পিসিআর টেস্ট রিপোর্ট লাগবে এবং তাদের একটা অ্যাপস আছে, সেটাতে তথ্যগুলো দিলে তারা অ্যাপ্রুভাল দেবে।মার্চ পর্যন্ত আকাশ পথে দেশে আসা সাত লক্ষাধিক যাত্রীর মধ্যে ইউরোপ আমেরিকা প্রবাসীরা ফেরার সুযোগ পেলেও আটকা পড়েছেন সিংহভাগ মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী। অনেকে চাকরি হারিয়ে প্রতিদিনই বিশেষ ফ্লাইটে মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে ফিরছেন।