করোনা মহামারিতে গেল বছরের মতো চলতি বছরও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘যা মনে হচ্ছে, জেএসএসি-জেডিসি পরীক্ষা হওয়াটা খুবই কষ্টকর হবে। কারণ শিক্ষাবোর্ডগুলো এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা ও ফলাফল নিয়ে ব্যস্ততায় থাকবে। তবে পরীক্ষা হবে না তা এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।‘
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস’ সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এমন ইঙ্গিত দেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অনেকগুলো লজিস্টিক বিষয় দেখতে হয়। এ বছরের এসএসসি জুন মাসে এবং এইচএসসি আগস্ট মাসে হওয়ার কথা। এইচএসসি আগস্টে হলে… এখন যা মনে হচ্ছে জেএসএসি-জেডিসি পরীক্ষা হওয়াটা খুবই কষ্টকর হবে। কারণ শিক্ষাবোর্ডগুলো এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা ও ফলাফল নিয়ে ব্যস্ততায় থাকবে। তবে পরীক্ষা হবে না তা এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ‘
‘তাহলে আমরা বলতে পারি এবার জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা হচ্ছে না’, এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়নি। আর কিছুদিন দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সামনে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা আছে, লজিস্টিক বিষয়গুলো দেখে যদি মনে হয় কষ্ট হলেও পারা যাবে, সে ক্ষেত্রে হয়তো নেওয়া যাবে। তবে আরও এক-দেড় মাস সময় নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে চাই।’
২০২৩ সালের নতুন শিক্ষাক্রমে জেএসসি পরীক্ষা নেই। আর কারোনার কারণে গত দুই বছরও জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছর পরীক্ষা নেওয়া কতটা জরুরি কিনা জানতে চাইলে দীপু মনি বলেন, ‘সেই অর্থে খুব যে জরুরি তা হয়তো নয়। তারপরও পরিস্থিতিটি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। দ্রুততম সময়ে এ সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের রুটিন দায়িত্বে থাকা তপন কুমার সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এ বছর জেএসসি পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ আগস্ট এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে সেপ্টেম্বরে। পাবলিক পরীক্ষা নিতে গেলে তিন থেকে চার মাসের মতো প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। এছাড়া জেএসসিতে পরীক্ষার্থী অনেক বেশি। সে কারণে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।