অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যার আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে আরও একটি হত্যা মামলার এজাহার দায়ের করা হয়েছে। ১০ লাখ টাকা দাবি করে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে আরও পাঁচ লাখ টাকা না দেওয়ায় টেকনাফের মাহমুদুর রহমান নামের এক প্রবাসীকে এনকাউন্টারের নামে হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে।
বুধবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৩ আদালত (টেকনাফ)-এ এজাহারটি দায়ের করা হয়। বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন শুনানি শেষে এজাহারটি মামলা হিসাবে রুজু না করে ওই ঘটনায় অন্য কোনও হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে কিনা তা জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
নিহত মাহমুদুর রহমানের ভাই নুরুল হোসাইন বাদী হয়ে এই এজাহার দায়ের করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী ইনসাফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অ্যাডভোকেট ইনসাফুর রহমান জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ মৌলভীপাড়া আলী আকবর পাড়ার মিয়া হোসেনের পুত্র প্রবাসী মাহমুদুর রহমানকে থানার এসআই দীপকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। পরে দীপক ও ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ক্রসফায়ার না দেওয়ার শর্তে প্রবাসীর পরিবারের লোকজন থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। পরিবার নিরূপায় হয়ে পাঁচ লাখ টাকা দেয়। কিন্তু আরও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে পুলিশ। দাবির পাঁচ লাখ টাকা না দেওয়ায় ৩১ ফেব্রুয়ারি রাতে ক্রসফায়ারের নামে প্রবাসী মাহমুদুর রহমানকে হত্যা করা হয়।
মামলার এজাহারে এসআই দীপককে প্রধান ও বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২ নং এবং মোট ২৩ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ১৮ জন পুলিশ সদস্য। বাকি পাঁচ জন চৌকিদারসহ স্থানীয় লোকজন।