প্রায় চার বছর পর বাংলাদেশ সফরে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ সিরিজে নেই পঞ্চপাণ্ডবের অন্যতম উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
নেই ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালও। তবে মুশফিকের না থাকাটা তামিমের মতো ইনজুরিগত নয়। সিরিজে খেলার জন্য শতভাগ প্রস্তুত ছিলেন মুশফিক।
কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) আপত্তিতেই সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন মি. ডিপেন্ডেবল।
তাদের তৈরি কোয়ারেন্টিন নিয়মের মারপ্যাঁচে পড়েছেন মুশফিক। বিষয়টি নিয়ে হতাশাও প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
দল যখন মাঠের লড়াইয়ে ব্যস্ত, তখন টিভি সেটের সামনে বসে সতীর্থদের খেলা উপভোগ করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই মুশফিকের।
তবে সময়টা পরিবারের সঙ্গে বেশ ভালোই উপভোগ করতে পারছেন মুশফিক। পূরণ করে নিতে পারছেন নিজের ইচ্ছাগুলো।
সুযোগ ও সময় পেলে কী কী ইচ্ছা পূরণ করবেন মুশফিক? গত মাসে এক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ানকে এ কথা জিজ্ঞেস করা হয়।
জবাবে মুশফিক হেসে বলেন, অনেক ইচ্ছাই তো আছে। অনেক ইচ্ছা, স্বপ্নপূরণ হয়নি এখনও। সেই সামর্থ্যও হয়নি সেভাবে।
সাংবাদিকরা ফের জিজ্ঞেস করেন— ধরুন আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে গেলেন, তবে কোন তিনটি ইচ্ছা পূরণ করবেন?
মুশফিকের সরল জবাব, ‘চেরাগ না পেলেও কিছু ইচ্ছা পূরণ করতে চাই। প্রথমটি হলো— একটি মসজিদ নির্মাণ করে যেতে চাই। দ্বিতীয়টি হলো— এতিমদের জন্য একটি জায়গা করে যাওয়া, যেখানে তারা সবসময় থাকতে পারবে। আর তৃতীয়টি— একটি হাসপাতাল করে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। সেখানে যেন সবাই বিনামূল্যে চিকিত্সাসেবা পায়।