কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী ২টি সন্ত্রাসী সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ জন নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছে এপিবিএন ও পুলিশ। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে ৩ জন ও ২ জন হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করে। নিহত সকলেই বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ আরসার সন্ত্রাসী বলে দাবি এপিবিএন’র।
শুক্রবার (৭ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টায় বালুখালীস্থ ৮ (পূর্ব) নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও) সন্ত্রাসীদের মধ্যে এ গোলাগুলি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ৮ এপিবিএন’র সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।
তিনি জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ভোরে ২টি সংগঠনের সন্ত্রাসীরা গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে এপিবিএন ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে ৩ জনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। আহতাবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী আইএমও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ওয়ান শুটার।
ঘটনাস্থলে নিহতদের মধ্যে ২ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেলেও অপর ১ জনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিচয় শনাক্ত হওয়া নিহত ২ জন হলেন, ৮ নম্বর ক্যাম্পের আনোয়ার হোসেন (২৪), মোহাম্মদ হামীম (১৬)।
আহতাবস্থায় হাসপাতালে নেয়া ২ জন হলেন, ১৩ নম্বর ক্যাম্পের আবুল বাশারের ছেলে নুরুল আমিন (২৪) ও ১০ নম্বর ক্যাম্পের আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. নজিমুল্লাহ (২৮)।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত ২ জনও বেলা ১১ টায় মৃত্যুবরণ করেছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী। তিনি জানান, নিহত ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করে উখিয়া থানায় আনা হয়েছে। অপর ২ জনের মরদেহও হাসপাতাল থেকে থানায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার পর কক্সবাজারের পুলিশ সুপারসহ এপিবিএন ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।