ইস্তাম্বুলে বোমা হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও টানাপোড়েন যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্ক সম্পর্কে। আঙ্কারার দাবি, কুর্দি বিদ্রোহীরা এ হামলায় জড়িত। আর এ বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের ওপর মার্কিন সমর্থন থাকায় ওয়াশিংটনের ওপর ক্ষুব্ধ আঙ্কারা। হামলায় যুক্তরাষ্ট্র শোক জানালেও, তা প্রত্যাখান করেছে তুরস্ক। এদিকে, হামলায় নিহতদের স্মরণে শোক চলছে তুরস্কজুড়ে। খবর আনাদোলুর।
ইস্তাম্বুলে বোমা হামলায় নিহতদের জানাজায় স্বজনহারাদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে তুরস্ক। এদিকে, হামলার দু’দিন পার হলেও এখনও স্বাভাবিক হয়নি ইস্তিকলাল স্কয়ারের পরিস্থিতি। ঘটনাস্থলে নিহতদের স্মরণে চলছে শোক।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সিরিয়ান বংশোদ্ভুত আহলাম আল বাশির নামের এক নারী এ হামলার সাথে জড়িত। কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠী পিকেকে এর সদস্য তিনি। এ ঘটনার পর থেকে কুর্দি বিদ্রোহী এবং তাদের সমর্থকদের খোঁজে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনী।
এদিকে, বোমা হামলাকে কেন্দ্র করে আবারও টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে ওয়াশিংটন-আঙ্কারার মধ্যকার সম্পর্কে। হামলার সাথে পিকেকে এবং এর সহযোগী গোষ্ঠী ওয়াইপিজির জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে তুর্কি প্রশাসন। কুর্দি বিদ্রোহীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকায়, হামলার ঘটনায় ওয়াশিংটনের ওপর চটেছে আঙ্কারা। প্রত্যাখান করেছে মার্কিন শোক বার্তাও।
এ প্রসঙ্গে তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলায়মান সোইলু বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। মার্কিন সিনেট থেকে বাজেট পাস করা হয় এই বিদ্রোহীদের জন্য। সেই অর্থ ব্যবহার করা হয় তুরস্ককে অস্থিতিশীল করতে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের এ সহানুভূতির কোনো প্রয়োজন নেই আমাদের। তাদের শোক বার্তা প্রত্যাখান করছি।
প্রসঙ্গত, গত ৪ দশকের বেশি সময় ধরে তুরস্কে সক্রিয় রয়েছে কুর্দি বিদ্রোহীরা। তুর্কি-সিরিয়া সীমান্ত এলাকায় স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে সশস্ত্র সহিংসতা চালিয়ে আসছে পিকেকে এবং ওয়াইপিজি গেরিলারা। ২০১৬ সালে ইস্তাম্বুল ফুটবল ম্যাচে বোমা হামলায় ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার সঙ্গে জড়িত ছিল পিকেকে।