ইন্দোনেশিয়ায় কয়েক মাসের মধ্যেই তৃতীয় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। এবার লাভা ও ছাঁই বেরুচ্ছে ইলি লিউওটোলোক আগ্নেয়গিরি থেকে। রবিবার প্রায় চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। এই আগ্নেয়গিরির ঢালে থাকা ২৮টি গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে ১৭ বছর বয়সী মুহাম্মদ লিহান জানিয়েছেন, তিনি এই অগ্ন্যুৎপাতের শুরু থেকেই দেখেছেন। আগুনের তীব্রতায় স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ শুরু করে। কিন্তু অন্যত্র চলে যাওয়ার মতো অর্থ অনেকের কাছেই ছিল না। তবে স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, আগুন ছড়িয়ে পড়লেও অগ্ন্যুৎপাতে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ঘটনার পরই স্থানীয় বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখনও সেখানে অগ্নুৎপাত হচ্ছে। ফলে ওই এলাকায় বিমান চলাচলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, সবাই যেন মাস্ক পরেন এবং চোখ ঢেকে রাখার ব্যবস্থা করেন। তাছাড়া শরীরের খোলা অংশে ছাই পড়লে সেখানেও অসুবিধা হতে পারে। চার কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত বসবাসকারী মানুষকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, লাভা স্রোত ও ছাই সেখান পর্যন্ত যেতে পারে। বিষাক্ত গ্যাসও যেতে পারে।
মাউন্ট ইলি লিউওটোলোকের উচ্চতা পাঁচ হাজার ৪২৩ ফুট। গত কয়েক মাসের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয় আগ্নেয়গিরি থেকে লাভাস্রোত বের হলো ইন্দোনেশিয়ায়। এর আগে জাভা ও সুমাত্রায় দুইটি আগ্নেয়গিরিতে অগ্নুৎপাত হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার ১৭ হাজার দ্বীপে ৪০০ আগ্নেয়গিরি আছে। বলা হয় রিং অব ফায়ারের ওপর রয়েছে এই দ্বীপপুঞ্জ। সূত্র: ডিডব্লিউ।