আজিজুর রহমান দুলালঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বাকাইল গ্রামের বিশ্বাস পাড়া এলাকায় দেড়শো মিটার রাস্তার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি বেড়েছে। কাঁচা সড়কের স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী। রাস্তাটি নির্মাণের জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর ইউসুব মুন্সী। নির্বাচিত হবার পর হয়েছিলেন প্যানেল মেয়র।
এর পরেও নানা জটিলতার জন্য রাস্তাটি এখন নির্মাণ করা হয়নি। সেই অবহেলিত রাস্তাটি নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিন দেখা যায়, পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বাকাইল গ্রামের বিশ্বাস পাড়ার মধ্যে দিয়ে চার বছর আগে প্রায় তিন শত মিটার একটি সরু পাকা রাস্তা হয়। ওই সময় প্রায় দেড়শো মিটার রাস্তার কাজ অবশিষ্ট থেকে যায়। পৌরসভার থেকে বলা হয়ে ছিল পরবর্তী শিডিউলে হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। এখনও হয়নি সে কাজ। সেখানে বসবাসকারী ২৫-৩০টি পরিবার প্রতিনিয়ত কষ্ট করে যাতায়ত করতে হচ্ছে। ওই রাস্তাদিয়ে বাকাইল ও কুসুমদী গ্রামের অনেক কৃষক তাদের ফসল আনা নেওয়া করে। ভূক্তভোগীদের জোর দাবি অবশিষ্ট রাস্তাটি দূরুত্ব পাকা হোক।
বাকাইল গ্রামের বিশ্বাস পাড়ার বাসিন্দা খাবার হোটেল ব্যবসায়ী সৈয়দ আলী বিশ্বাস বলেন, আমরা প্রায় ৩০টি ঘর বৃষ্টির সময় পানি বন্দি থাকতে হয়। কর্দমাক্ত পথ দিয়ে গ্রামের অনেক কৃষক তাদের ফসল আনা নেওয়া করে। স্কুলে-কলেজের অনেক শিক্ষাথর্ীরা যাতায়ত করতে কষ্ট হয়। আমরা স্থানীয় কাউন্সিলরকে বলেছি দূরুত্ব রাস্তাটি করে দিতে। আমাদের বলা হয়েছে রাস্তাটি হয়ে যাবে। শুধু আশ্বাসের ওপরই আছি এখনও রাস্তাটির কাজ শুরু হয়নি। পাকা রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে ইউএনও বরাবর দরখাস্ত দিবো গণ স্বাক্ষর নিচ্ছি এলাকাবাসীর।
অটোভ্যান চালক আরিফ বিশ্বাস বলেন, বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বের হতে কষ্ট হয়। অতিরিক্ত বৃষ্টির দিনে কোনো কোনো দিন ভ্যান নিয়ে বের হতে পারিনা। সেদিন আমাদের আয়-রোজগার বন্ধ থাকে। আমাদের রাস্তাটুকু পাকা করার বিশেষ প্রয়োজন। আরিফ ছাড়াও কয়েকজন ভ্যানচালক ওই মহল্লায় বসবাস করেন।
নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারিয়া খানম বলেন, রাস্তা নেই বৃষ্টির দিনে ঘর থেকে বের হতে কষ্ট হয়। বাড়ির পাশে পানি জমে গেলে ওই দিন স্কুলে যেতে পারি না। আশপাশে সব রাস্তা পাকা হয়ে গেছে শুধু আমাদের এই রাস্তাটুকু পাকা হলেই আমরা এলাকার সবাই খুব সহজে যাতায়াত করতে পারবো।
স্থানীয় সদ্য সাবেক কাউন্সিলর ইউসুব মুন্সী বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে রাস্তা নির্মাণের কাজে বিলম্ব হয়। আমরা ক্ষমতায় থাকতে কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। সরকার পতন ঘটার পর সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। এখনতো আমাদের হাতে কোনো ক্ষমতা নেই।
আলফাডাঙ্গার পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী জাকারিয়া আলম বলেন, স্থানীয় কিছু ঝামেলার জন্য রাস্তার কাজে বাঁধা আসায় রাস্তার কাজটি হয়নি। এখন শিগগিরই হয়ে যাবে বলে আশা করছি।
পৌরসভার বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) সারমীন ইয়াসমীন বলেন, এলাকার লোকজনের চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তাটি করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলে যত দূরুত্ব সম্ভব রাস্তাটি নির্মাণ করা হবে।