আজিজুর রহমান দুলালঃ ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার ধলাইরচর বরকতিয়া আলিম মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্র মেহেদী হাসানের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ধলাইরচর বরকতিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা শেষে তার চাচাতো ভাই জোবায়ের মোটরসাইকেলে ফুফা আলী আকবারের বাড়িতে আসতেছিলেন। এসময় আলফাডাঙ্গা কলেজের সামনে আসলে মোটরসাইকেলর গতি একটু বেশি থাকায় কিশোর গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্য তাদের দু’জনকে থামতে বলে। কিন্তু তারা প্রাণভয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে আসতে গেলে কিশোর গ্যাংয়ের ওই সদস্যরা তাদের তাড়া করে। একপর্যায়ে মেহেদী হাসান তার ফুফার বাড়ির সামনে চলে আসার সাথেই কিশোর গ্যাংয়ের ওই পাঁচ সদস্য তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় মেহেদী হাসানকে হকিস্টিক ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তখন স্থানীয়রা এগিয়ে এলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পালিয়ে যান। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেদী হাসানের অবস্থা খারাপ দেখতে পেয়ে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে মেহেদী হাসান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে । একটি নির্দিষ্ট সময় না যাওয়া পর্যন্ত তার ব্যাপারে চিকিৎসকরাও কিছু বলতে পারছে না।
এ উপলক্ষে ৪ মার্চ সোমবার সকাল ১১ টার সময় আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজ এলাকা থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, ধলাইরচর বরকতিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. মোছলেম উদ্দীন, স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন,এবং ম্যানেজিং কমিটি সদস্য হাবিবুল বাশার, মনিরুজ্জামান, মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মৌলভী আনোয়ার হোসেন, আরবি প্রভাষক মো. হোসাইন আহম্মেদ এরশাদ, সহকারী শিক্ষক আক্তার হোসেন, আহত দাখিল পরীক্ষার্থীর চাচাতো ভাই জুবায়ের হোসেন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আবু মুসা, মারিয়া খানম, আফসানা খানম প্রমুখ।
সমাবেশে মেহেদী হাসানের উপর সন্ত্রাসীদের নৃশংস ও বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে, দোষীদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোড় দাবি জানান।