আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সেনারা নাগোরনো-কারাবাখের আরেকটি শহর ছেড়ে চলে গেছে। কৌশলগত এই শহরের দখল নিতে পারা আজারবাইজানের জন্য চলমান সংঘর্ষে আরেকটি সাফল্য। মঙ্গলবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
প্রায় এক মাস ধরে নাগোরনো-কারাবাখ থেকে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করতে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে তুরস্কের ঘনিষ্ঠ মিত্র আজারবাইজান। এলাকাটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের বলে স্বীকৃতি হলেও আর্মেনিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তা নিয়ন্ত্রণ ও শাসন করছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সোমবার জানান, ছিটমহলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গুবাদলি থেকে সেনারা সরে গেছে অপ্রয়োজনীয় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে। কিন্তু পরিস্থিতি গুরুতর নয়।
আজারবাইজানের সাফল্য সংঘাতের কূটনৈতিক সমাধান কঠিন করে তুলতে পারে। ছিটমহল থেকে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রত্যাহার ছাড়া কোনও সমাধান মানতে রাজি না আজেরি সরকার ও তুরস্ক। আর্মেনিয়াও বলে আসছে, এই এলাকাকে ঐতিহাসিক মাতৃভূমি হিসেবে তারা বিবেচনা করে। ফলে এখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না এবং স্থানীয়দের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল সংঘাতে লিপ্ত উভয় দেশ। কিন্তু সংঘর্ষ থামাতে এই চুক্তির তেমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। এর আগেও রাশিয়ার মধ্যস্থতায় দুই দফা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও তা উপেক্ষা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালেও বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল বলে নাগোরনো-কারাবাখ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনটি ফ্রন্টলাইন এলাকায় সংঘাত কেন্দ্রীভূত হচ্ছে।