সিলেটের বিশ্বনাথে ডিভোর্সের পর আমেরিকা প্রবাসী স্ত্রীর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করায় পর্নোগ্রাফি মামলায় স্বামী ও ভাসুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চরচন্ডি গ্রামের হাজী ইদ্রিছ আলীর পুত্র স্বামী নুরুজ্জামান মিনার (৩২) ও ভাসুর আনহার আলী (৪২)।
শনিবার গ্রেফতারকৃত নুরুজ্জামান মিনারকে প্রধান আসামি করে ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের মশুলা (মজলিশ ভোগশাইল) গ্রামের আলতাব আলীর পুত্র আলকাছ আলী (৪২)।
এ মামলায় দুজনকে গ্রেফতার করা হলে থানায় অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রধান আসামি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নুর হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে নুরুজ্জামান থানায় অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আর বড় ভাই আনহার আলীকে রোববার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
বাদী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রেমের সম্পর্কে আসামি নুরুজ্জামান মিনারের সঙ্গে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তার আমেরিকা প্রবাসী বোনের বিয়ে হয়। পরবর্তীতে উভয় পরিবারের লোকজন তাদের বিয়ে মেনে নিয়ে ১৮ সালের ১১ এপ্রিল সামাজিকভাবে ২৫ লাখ টাকা কাবিননামার মাধ্যমে পুনরায় আনুষ্ঠানিকতাও করা হয়। অবশেষে একই সালের ১৫ মে তার বোন আমেরিকা চলে যান। এরপর থেকে তার বোনকে বিভিন্ন সময় টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে স্বামী নুরুজ্জামান মিনার।
দেশে থাকতেও টাকার জন্য অশুভ আচরণ করতো স্বামী। এর পূর্বে কৌশলে মোবাইল ফোনে স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনের বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আর ছবি ধারণ করে রাখে স্বামী নুরুজ্জামান মিনার। টাকা না দেয়ায় এসব গোপন ছবি আর ভিডিও ইন্টারনেটসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। আর এই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বামী নুরুজ্জামান মিনারকে ডিভোর্স দেন তার বোন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী ওই ছবি আর ভিডিওগুলো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ফেক ফেসবুক আইডির মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।