সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল সাইনবোর্ড যেকারো নজর কাড়বে৷ এসব সাইনবোর্ড ডিজাইন ও প্রিন্টিং ব্যবসায় প্রচুর বাংলাদেশি রয়েছেন। বিশাল বিশাল প্রিন্টিং প্রেস রয়েছে আমিরাতের প্রতিটি শহরে। তবে গিফট আইটেম, স্যুভেনির, কর্পোরেট গিফট, এওয়ার্ড, ই-কমার্স ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসায় কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
বিশেষ করে স্যুভেনির খাতে বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান নেই বললে চলে। আজমানে এই ব্যবসায় জড়িয়েছে মারওয়ান এডভার্টাইসিং। প্রতিষ্ঠানটি কর্পোরেট গিফট আইটেমস, স্যুভেনির ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট একসঙ্গে নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
গতকাল শনিবার (১৯ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানটির নতুন অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে। এসময় প্রতিষ্ঠানটির সত্ত্বাধিকারী মামুনুর রশীদ এ সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা ব্যতিক্রম কিছু করতে চাই৷ বিশেষ করে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠান আমিরাতের মাটিতে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে চাচ্ছি৷ এছাড়াও বিদেশি কিছু ইভেন্টের কাজও আমরা করেছি৷’
বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, ‘আমিরাতে বাংলাদেশি যেসকল ক্রিয়েটিভ প্রতিষ্ঠান রয়েছে তারমধ্যে অন্যতম মারওয়ান এডভার্টাইসিং। এই প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী কনস্যুলেট ও কমিউনিটির সকল ইভেন্টকে মনের মাধুরি দিয়ে পেশাদারিত্বের সাথে ফুটিয়ে তুলেন। প্রিন্ট ব্যবসার পাশাপাশি ভিন্নধর্মী এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে৷’
তিনি বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী মামুনুর রশীদ সব সময় কনস্যুলেটের ক্রিয়েটিভ কাজে সহযোগিতা করেন। তাঁর মাধ্যমে যেসকল কাজ করানো সম্ভাব তা অন্যত্র আমরা খুঁজে পাইনি। কোয়ালিটি সম্পন্ন কাজের জন্য মারওয়ান এডভার্টাইসিং সবার শীর্ষে। দক্ষতার সম্মান ও গুরুত্ব আমাদেরকে দেখাতেই হবে। দক্ষ মানুষের মাধ্যমে নতুনত্ব সৃষ্টি হয়।’
নাজমুল হকের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের লেডিস গ্রুপের সভাপতি আবিদা হোসেন, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আইয়ুব আলী বাবুল, বাংলাদেশ সমিতি শারজার সভাপতি এম এ বাশার, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইসমাইল গণী, ইব্রাহিম ওসমান আফলাতুন সিআইপি, মাজহারুল্লাহ মিয়া, বিমানের কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক রেজা, বুলবুল আহমেদ মুকুল, ব্যবসায়ী মাহবুবর রহমান, শেফালী আক্তার আখি, কামাল হোসেন সুমন, শামসুন্নাহার স্বপ্না প্রমুখ৷
সবশেষে ব্যবসার সফলতার জন্য দোয়া করা হয়।