সনজিত কুমার শীল, আমিরাত প্রতিনিধিঃ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবিধাবির ব্যাইনোনা জেনারেল ক্লিনিং কোম্পানি বিগত পাঁচ মাস থেকে বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন প্রবাসীর শ্রমিকেরা।
আমিরাতের আবুধাবি মাপরাক ক্যাম্পে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ওই কোম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকসহ প্রায় তিন শতাধিক ওই কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। এছাড়াও আল আইন এবং শারজাতে তাদের একই কোম্পানির শ্রমিক রয়েছেন। বিগত পাঁচ মাস ধরে কোম্পানির কাজকর্ম বন্ধ থাকায় কষ্টের পড়েছেন প্রায় ১০ থেকে ১২ বছরের কর্মরত শ্রমিকেরা।
প্রবাসীরা দেশে টাকা পাঠাতে না পেরে অনেকটা ভেঙে পড়েছেন। একদিকে পানির সংকট অন্যদিকে খাবারের সমস্যা। পাঁচ মাস থেকে কাজকর্ম না থাকায় বেতন দিচ্ছে না মালিকপক্ষ। স্থানীয় প্রশাসন মাঝেমধ্যে এসে খাবার দিয়ে যায়।
আমিরাতের পুলিশের সহযোগিতায় শ্রমিকদের সাথে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যোগাযোগের সুযোগ হয়। এক পর্যায়ে ওই কোম্পানির কর্মরত বাংলাদেশীদের তাদের ডকুমেন্ট বাংলাদেশ দূতাবাসে জমা দেওয়া হয়। রাষ্ট্রদূত আবু জাফরের নির্দেশে গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবি শ্রমকল্যাণ উইং কাউন্সিলর (স্থানীয়) মোসাম্মৎ লুৎফুন নাহার নাজিমের নেতৃত্বে লেবার উইং কর্মকর্তারা সহ এই অসহায় শ্রমিকদের মাঝে বিপুল পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় লেবার কাউন্সিলর
লুৎফুন নাহার নাজীম বলেন “সরকার সব সময় প্রবাসীদের পাশে আছেন। যে কোন সময় কোন প্রবাসী বিপদে পড়লে আমাদের বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা আপনাদের সহযোগিতা করে যাব। আমরা আপনাদের পাওনা অর্থ আদায়ের সহযোগিতা করে যাব। আপনারা সব সময় এদেশের আইন কানুন মেনে চলবেন। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখবেন। এ করোনা কালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন এবং দেশে থাকা পরিবারের প্রতি অনুরোধ রইল আপনারা প্রবাসীদের জন্য দোয়া করবেন।”
প্রবাসীদের অনেকের ভিসার মেয়াদ চলে গেছে। ভিসা ও আইডির মেয়াদ চলে যাওয়ায় জরিমানা এসেছে। সেইসব জরিমানা ইতোমধ্যে দেশটির আদালত মওকুফ করেছে।
বাংলা এক্সপ্রেসের কাছে বিপর্যস্ত প্রবাসীরা বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের বর্তমান কোম্পানি থেকে হিসাব-নিকাশ আদায় করে অন্য কোম্পানিতে ভিসা লাগানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া জন্য দাবি জানান।