বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে যে পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, তার মধ্যে আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দুটিতে একপ্রকার দুর্ভাগ্যই ছিল। গোল মিসের মহড়ায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল লাল-সবজু জার্সিধারীরা এবং ভারত শেষ মুহূর্তে গোল দিয়ে ড্র করে।
এই দুটি দলের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচ ছিল দেশের মাটিতে। কিন্তু করোনাভাইরাসে ম্যাচ কেবল পিছিয়েই যায়নি, এএফসি সবগুলো ম্যাচ নিয়ে গেছে সেন্ট্রাল ভেন্যুতে। জুনে কাতারে শেষ তিন ম্যাচ খেলতে হবে জেমি ডে’র শিষ্যদের।
ঘরের মাঠে হলে বাংলাদেশ বাড়তি সুবিধা পেতো। হাজার হাজার দর্শকের সামনে উজ্জীবিত হয়ে খেলত জামাল ভূঁইয়ারা। এখন নিরপেক্ষ ভেন্যুতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মিশন শেষ করতে হবে তাদের।
আফগানিস্তান, ভারত ও ওমান- এই তিন প্রতিপক্ষের মধ্যে প্রথম দুটির বিপক্ষে জয়ের আশা করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়ে যে মানুষের আগ্রহ বেশি তা জানেন অধিনায়ক।
কলকতায় গ্যালারি ভর্তি ভারতীয় সমর্থকের সামনে বাংলাদেশ প্রায় জিতেই গিয়েছিল। তাহলে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে কেন নয়? জামাল ভূঁইয়া বাংলাদেশ, ভারত ও আফগানিস্তান দল তিনটিকে দেখছেন প্রায় সমশক্তি হিসেবে। রোববার ক্যাম্পে যোগ দিয়ে তাই তিনি এই দুটি দলকে হারাতে পারবেন বলে প্রত্যাশার কথা শুনিয়েছেন।
‘আমি চাচ্ছি হাই লেভেলের গেম। তার জন্য আমাদের সবকিছু ঠিকঠাক থাকতে হবে। সবাই ভালো ফলাফল প্রত্যাশা করছে। খেলোয়াড় হিসেবে আমি তো ভালো ফলাফল চাই। ভারত ও আফগানিস্তানের ফুটবলাররা বাংলাদেশের ফুটবলারদের মতোই। তাই আমি আশা করছি ভালো ম্যাচ, ভালো লড়াই। হোপফুলি আমরা জিততে পারি ওদের বিপক্ষে। কারণ, ওরা এত ভালো না’- ক্যাম্পে যোগ দিয়ে বলছিলেন জামাল ভূঁইয়া।
তবে আগের ম্যাচগুলোর দিকে ফিরে তাকিয়ে জামাল ভূঁইয়া ভাগ্যকে বেশ দুষলেন, ‘আসলে সবকিছু ভাগ্য। দেখেন, আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেছি। অনেক সুযোগ মিস করেছি। আর ভারত তো শেষ দিকে গোল করেছে। এটা দুর্ভাগ্য ছাড়া কিছু নয়। দুই প্রতিপক্ষই সমান। খেলাও হবে সমান। তবে ওরা বল বেশি পাবে, আমরা প্রতি আক্রমণে ভালো।’