আইপিএলে টানা দুই ম্যাচ হেরে বিপাকে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই অবস্থায় বুধবার মুম্বাইয়ের মাঠে হারের বৃত্ত ভাঙতে মরিয়া দলটি। মুম্বাইয়ে জয় পেতে দলে একাধিক পরিবর্তনের আভাস দিয়েছে নাইট ম্যানেজমেন্ট। সেই পরিবর্তনের জোয়ারে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে সাকিব কি আরেকটি সুযোগ পাবেন, নাকি বাদ পড়বেন? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন বাংলাদেশি ভক্তদের কাছে। ম্যাচটা শুরু হবে আজ রাত ৮টায়। দেখাবে স্টার স্পোর্টস-১।
কলকাতার জার্সিতে তিন ম্যাচের তিনটি খেলে ফেলেছেন সাকিব। কলকাতার টিম ম্যানেজমেন্ট সাকিবের ওপর আস্থা রাখলেও গত তিন ম্যাচে ব্যাটে-বলে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ব্যাট হাতে তার সংগ্রহ মোট ৩৮ রান, আর বল হাতে শিকার মাত্র ২ উইকেট। ব্যাটিংয়ে স্ট্রাইকরেট এক শ’র নিচে আর বোলিংয়েও রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি আটের ওপরে।
কেবল সাকিব একা নন, কলকাতার একাদশে থাকা অন্য তিন বিদেশি খেলোয়াড়ের কেউই আহামরি পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। যে কারণে চতুর্থ ম্যাচের আগে নিজেদের একাদশ নিয়ে নতুন করে ভাবছে কলকাতা। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে সাকিবের বদলে স্পিনিং অলরাউন্ডার সুনীল নারিনকে একাদশে দেখার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। অবশ্য সাকিব-নারাইনের লড়াই বহু পুরনো। সে লড়াইয়ে কখনো সাকিব জিততেন, কখনো নারাইন। প্রথম তিন ম্যাচ সাকিব থাকলেও আজকের (বুধবার) ম্যাচে তার থাকার সম্ভাবনা কমই। অন্তত দলের কোচ ম্যাককালামের কথাতেই তা স্পষ্ট!
রয়ের চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে হেরে ম্যাককালাম বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রথম ম্যাচের আগে সুনীল নারাইনের চোট ছিল। সে শতভাগ ফিট ছিল না। নারিন অবশ্যই আমাদের হিসাবে আছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ও খেলার জন্য ফিট ছিল, কিন্তু আমরা ওর জায়গায় সাকিবকে খেলিয়েছি, কারণ আমাদের মনে হয়েছে ও আমাদের ব্যাটিংয়ের দিক দিয়ে আরেকটু সাহায্য করতে পারবে।’ কলকাতা আগের তিন ম্যাচে খেলেছে চেন্নাইয়ে। ঐতিহ্যগতভাবেই ওখানকার উইকেট স্পিন বান্ধব। নারিনের চেয়ে সাকিবের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সামর্থ্য এবং ব্যাটিংয়ে করার সামর্থ- সব মিলিয়ে গত তিন ম্যাচ সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার। কিন্তু আজ থেকে কলকাতার মুম্বাই পর্ব শুরু হচ্ছে। চেন্নাইয়ের মতো এখানকার উইকেট অতটা স্পিন বান্ধব নয়। বিষয়টি মাথায় রেখেই পরের ম্যাচে দলের মূল একাদশে পরিবর্তন আনতে চলেছে কলকাতা।
ম্যাককালাম বলেছেন, ‘তিন ম্যাচ শেষে এখন বলবো, ছেলেরা ভালো খেলেছে তবে আমরা ফলটা পাইনি। এখন মুম্বাইয়ের উইকেটে হয়তো আমাদের নতুন কাউকে লাগবে। পরের ম্যাচে আমরা একটা বা দুটি পরিবর্তন দেখতে পারি।’ সাকিব খেলুক আর না খেলুক যুদ্ধটা যে সুনীল নারিনের সঙ্গেই করতে হচ্ছে, সেটি নিশ্চিত। পুরনো এই যুদ্ধে কে জেতে, সেটাই এখন দেখার বিষয়!