আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন নিয়ে বারবার জনগণকে বোকা বানাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে শুধু বিএনপি নয়, অন্যান্য বিরোধী দলও নির্বাচনে যাবে না। একেবারে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বাংলাদেশে।
আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) সব বিশ্বাস নষ্ট করেছে। জনগণের দাবি পূরণ হলেই নির্বাচন হবে। আন্দোলন করেই দাবি আদায় করবো।
আজ বুধবার (১১ মে), দুপুরে চাঁদপুর জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর শেরে-ই বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাজার জিয়ারত শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
দলীয় সরকারের অধীনে আর নির্বাচন হবে না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব অনেক কথাই বলেন। উনি তো বিএনপি করেন না, বিএনপি আমরা করি। আর এবার আমরা যেটা বলেছি যে, এদের (আওয়ামী লীগ সরকার) অধীনে আর নির্বাচন হবে না। এবার নির্বাচন তখনই হবে যখন জনগণ জয়লাভ করবে। সেই নির্বাচনে আমরা যাবো।
অস্তিত্ব রক্ষার কথা বলেছেন, বাংলাদেশে সব থেকে বড় দল বিএনপি। দেখা যাবে দেশে সব চেয়ে বেশি মানুষ বিএনপিপন্থী। আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন নেই, প্রশ্ন তাদের আছে। তাদের তো দল নেই। তাদের আছে পুলিশ আর লাঠিয়াল বাহিনী। আমাদের দল আছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রসঙ্গেইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, গতবার আমরা একটা জোট করেছিলাম। জোট সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচনে যাওয়া হবে। সে নির্বাচন তো আমরা দেখেছি। দিনের ভোট রাতে করেছে। এবার ইভিএম দেবে। সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন দেবে, রুলিং পার্টি দেবে না! শুধু আমরা না, অন্যান্য যারা বিরোধী দল আছে তারাও একমত হয়েছে, এই সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবে না। আন্দোলন করেই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই গণতন্ত্রের জন্য আবার আন্দোলন করবো। আমরা আন্দোলন করে দাবি আদায় করবো। আমরা না গেলে নির্বাচন কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, আন্তর্জাতিকভাবে কাদের স্বীকৃতি পাবে ওরাও জানে-আমরাও জানি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গতবার দিনের ভোট রাতে করেছে। এবার যাতে রাতে করতে না হয় ইসি কার্যালয়ে বসে প্রোগ্রাম নিজেদের মতো করে ৯০ শতাংশ ভোট কাস্ট দেখিয়ে ৮০ শতাংশ তারা নেবে সেই ষড়যন্ত্র আমরাও বুঝি, দেশের মানুষও বোঝে।