আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) টি-২০ বিশ্বকাপ হবে কি হবে না সেই সিদ্ধান্ত এখনও জানায়নি। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) এখনও সেই সিদ্ধান্ত না জেনে দৃশ্যত আইপিএল আয়োজনে পা ফেলতে পারছে না। তারপরও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে লিগ হচ্ছে, এটা ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন-ক্রিকইনফো ইঙ্গিত দিয়েছে ১৩তম আইপিএলের পুরোটাই হতে পারে আরব আমিরাতে এবং সম্ভাব্য সূচি ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর। আগামী ২০ জুলাই হয়তো ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় নির্ধারিত টি-২০ বিশ্বকাপের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে আইসিসি।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে একটি ফ্রাঞ্চাইজির মালিক বলেছেন, তারা এরইমধ্যে আনুষঙ্গিক সব প্রস্তুতি নিয়ে আবুবধাবির হোটেলে ওঠার দিকেই দৃষ্টি দিচ্ছেন। সেখান থেকেই ১৩তম আইপিএলের অনুশীলন চলবে তাদের।
‘পরিস্থিতি বুঝে আপনাকে চলতে হবে এবং পরিকল্পনা করতে হবে আগেই। কী আমাদের করতে হবে সেটি আমরা জানতে পেরেছি, সেই অনুযায়ী আমাদের পরিকল্পনাও চলছে। আবুধাবিতে গিয়ে যে হোটেলে উঠবো, আমরা সেটিও ঠিক করে ফেলেছি। এখন বিমান ভ্রমণ ও আরব আমিরাতে কোয়ারেন্টিন প্রক্রিয়াটা কীভাবে সম্পন্ন হবে সেটি ভাবছি। আমরা সে দেশের সরকারের স্বাস্থ্যনীতিটা খতিয়ে দেখছি’-বলেছেন ফ্রাঞ্চাইজিটির সেই কর্মকর্তা।
সাবেক চ্যাম্পিয়ন একটি ফ্রাঞ্চাইজির এক কর্মকর্তা বলেছেন, তারা আরব আমিরাতে যাওয়ার আগে ভারতেই খেলোয়াড় ও স্টাফদের আইসোলেশন পর্বটা সেরা যেতে চান, ‘আমরা সব খেলোয়াড়কে ভারতেই এক করতে চাই। জীবানু সুরক্ষিত পরিবেশে কয়েকটি দিন কাটিয়ে করোনা টেস্ট করিয়েই আমরা তাদের নিয়ে যাবো আরব আমিরাতে।’
দ্বিতীয় ফ্রাঞ্চাইজিটির কর্মকর্তার ব্যাখ্যা, ‘আমরা সবাই বাড়িতে আছি বলেই এটা করতে হবে। আমাদের কারো মধ্যে যদি উপসর্গ ধরা না পড়ে, অন্যদের আক্রান্ত করার একটা ঝুঁকি থেকে যাবে। সে জন্যই সপ্তাহ দুয়েকের জন্য আইসোলেশনে থেকে দেশের মধ্যেই করোনা পরীক্ষা করিয়ে দেশ ছাড়াটা ভালো হবে।’
তৃতীয় ফ্রাঞ্চাইজির এক কর্মকর্তা বলেছেন ভ্রমণ-পকিল্পনার কথা। তার মতে, যেহেতু এখনও বিমানের ফ্লাইট স্বাভাবিক হয়নি, তাই ভাড়া করা বিমানই সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত অবলম্বন। ভাড়া করা বিমানের একেকটি ফ্লাইটে যাবে একটি দলের ৩৫-৪০ জন সদস্য।
আরেকটি ফ্রাঞ্চাইজির এক কর্মকর্তা অবশ্য ভিন্নমত প্রকাশ করে বলেছেন, তারা এখনও স্বাভাবিক বিমান চলাচলের অপেক্ষায় আছেন যাতে খেলোয়াড়েরা প্রথম শ্রেণির ভ্রমণ সুবিধা পেতে পারে। আর এ জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দেশ থেকে খেলোয়াড়েরা সরাসরি আরব আমিরাতে গিয়ে ঢুকে পড়বে ’বায়ো-বাবলে’।
ভারতীয় খেলোয়াড়দের ভ্রমণ নিয়ে ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে ভিন্নমত থাকলেও বিদেশি খেলোয়াড়দের বেলায় কোনও অস্পষ্টতা নেই। সবাই চায় বিদেশি খেলোয়াড়েরা নিজের দেশে কোয়ারেন্টিন বাধ্যবাধকতা শেষ করে সরাসরি আরব আমিরাতে গিয়ে সেই দেশের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করুন।