বিশ্ববিখ্যাত পরিচালক মাজিদ মাজিদি। ২০১৫ সালে তিনি নির্মাণ করেছেন মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স:) এর জীবনী নিয়ে সিনেমা ‘মুহাম্মদ:দ্য মেসেঞ্জার অফ গড’। এটিকে ইরানের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি হিসেবে অভিহিত করা হয়। ইসলামী বিধি বিধান অনুযায়ী মহানবীর শারীরিক চিত্রায়ন নিষিদ্ধ। সেই নিয়ম মেনেই এই ছবিতে মুহাম্মদ (স:)-এর মুখ দেখাননি মাজিদি। তবুও ছবিটি নির্মাণের শুরু থেকেই বিতর্কের মুখে রয়েছেন এই পরিচালক।
এটি মুক্তি দিতে গিয়েও বিরোধিতার শিকার হয়েছেন তিনি। বিশেষ করে মুসলিমপ্রধান দেশগুলো এই ছবিটিকে এড়িয়ে চলেছে বরাবরই। সেইসঙ্গে মুসলিম সংখ্যালঘু রাষ্ট্রেও এ ছবি মুক্তি দেয়া হয়নি মুসলিম আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে। সেই তালিকায় এবার ভারতেরও নাম উঠতে চলেছে।
আগামী ২১ জুলাই ভারতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়ার কথা মাজিদির এই ছবির। তার আগে ছবিটির মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার অনুরোধ জানিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবি শঙ্করকে চিঠি লিখলেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। এই ছবি এক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন অনিল।
চিঠিতে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, এই ছবি যদি নির্ধারিত দিনে মুক্তি পায়, তাহলে এটি একটি সম্প্রদায়ের বিশ্বাসে এবং ভাবাবেগে আঘাত হানতে পারে। এই ছবি ধর্মীয় অস্থিরতা তৈরি করতে পারে যার জন্য দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।
‘ইনফরমেশন টেকনোলজি আইনের ৬৯ ধারা প্রয়োগ করে আমরা সবরকম ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্মে এই ছবির মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা জানানোর আবেদন জাানাচ্ছি। সেইসঙ্গে অনুরোধ জানাচ্ছি, ফেসবুক,ইউটিউব, টুইটার,হোয়াটসঅ্যাপের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গুলোতেও এই ছবির মুক্তিতে জাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার নির্দেশিকা জারি করা হয়’- এভাবেই এ ছবি মুক্তি না দিতে নিজের মত জানিয়েছেন অনিল দেশমুখ।
মূলত ধর্মীয় সংগঠন ‘রজা অ্যাকাডেমি’র অভিযোগের ভিত্তিতেই কেন্দ্রের কাছে এই আবেদন জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।