রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের জন্য চালু করা র্যাবের ‘হটলাইন’ নাম্বার এবং ই-মেইলে ৯২টি প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছে।
বিভিন্নভাবে প্রতারিত হওয়া ব্যক্তিরা র্যাবের কাছে এসব অভিযোগ জানিয়েছেন। ভুক্তভোগীদের আইনি পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ। শনিবার (১৮ জুলাই) রাতে তিনি এ তথ্য জানান।
সাহেদের বিরুদ্ধে একদিনে এতগুলো অভিযোগ পাওয়ার ঘটনাকে ‘ভয়াবহ’ উল্লেখ করে লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য আমরা হটলাইন চালু করেছি। গত একদিনে ভয়াবহ রেসপন্স পেয়েছি। আমরা হটলাইনে ৭২টি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। এছাড়া ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ এসেছে ২০টি। সবগুলো অভিযোগ প্রতারণার।’
অভিযোগগুলোর ধরণ সম্পর্কে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, কারও সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করেছে, আবার কারও সঙ্গে পাথর বা জমি নিয়ে প্রতারণা করেছে সাহেদ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ তার দ্বারা প্রতারিত হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই সাহেদের ব্যাপারে তথ্য, অভিযোগ জানাতে বা আইনি সহায়তা পেতে একটি মোবাইল নাম্বার (01777720211) ও একটি ইমেইল এড্রেস ([email protected]) মিডিয়ার মাধ্যমে জনগণকে জানানো হয়। যা আরও সময় ধরে চালু থাকবে বলে জানিয়েছে র্যাব সদর দফতর।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এই সময় পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়। এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিল। পরে ১৫ জুলাই ভোরে ভারতে পালানোর সময় সাতক্ষীরা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
উৎসঃ বাংলা ট্রিবিউন