প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকে সারা দেশে নতুন করে ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ স্বাভাবিক হলেই এ নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে। আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে এ নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেনও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বড় আকারের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে এরই মধ্যে শিক্ষা অধিদফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সচিব জানান, প্রাক-প্রাথমিকে ভর্তিতে শিশুদের বয়স ৪ ও মেয়াদকাল ২ বছর করা হয়েছে। এ কারণে শিক্ষক দরকার হবে। সারা দেশে এ স্তরে ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১৪ হাজার সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য। এসব বিদ্যালয়ে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে ৪০ হাজার শিক্ষক প্রয়োজন হবে।
এদিকে নারী-পুরুষ উভয় আবেদনকারীর ক্ষেত্রে স্নাতক ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে মন্ত্রণালয়, যা আগে পুরুষের ক্ষেত্রে স্নাতক ডিগ্রি এবং নারীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি বা সমমান পাস ছিল। পরবর্তী নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে এ বিষয়টি পরিবর্তন হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফসিউল্লাহ।
মহাপরিচালক বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ নিয়ে কার্যক্রম শুরুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আগামী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তা সম্ভব না হলে স্বাভাবিক পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদন কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে। যেহেতু বিপুলসংখ্যক প্রার্থী নিয়োগের জন্য আবেদন করেন, সে কারণে সার্বিক সবকিছু বিবেচনা করে প্রার্থীরা যাতে ঝুঁকির মুখে না পড়েন, সেসব কিছু বিবেচনা করে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই নারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা আগের চেয়ে বাড়ানো হচ্ছে। এইচএসসি পাস থেকে বাড়িয়ে চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি নির্ধারণ হতে যাচ্ছে।
নতুন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকে স্তর অনুমোদন হওয়ায় প্রথম ধাপে ২৬ হাজার বিদ্যালয়ে একজন করে এ স্তরে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া সারা দেশে শূন্য হওয়া বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১৪ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। দুই ধাপে একই সঙ্গে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
জানা গেছে, প্রাক-প্রাথমিকের সময়সীমা দুই বছর ও ভর্তির ক্ষেত্রে চার বছর বয়সসীমা করে গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক স্তর পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য এক বছর মেয়াদি শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এ স্তরে অর্জিত সাফল্য ও অভিজ্ঞতা অর্জনে চার বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য দুই বছর মেয়াদি করতে একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এ স্তরে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, প্রাক-প্রাথমিকের ভর্তিতে শিশুদের বয়স চার ও মেয়াদকাল দুই বছর করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে এ স্তরে ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১৪ হাজার সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য।
এসব বিদ্যালয়ে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে একত্রে ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে (ডিপিই) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক স্তরে নতুন ২৬ হাজার শিক্ষকের পদ সৃজন করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। কেবিনেট সভায় এটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।