দেশের প্রধান ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে গান নিয়ে বিশেষ কোনও চমক মানেই এন্ড্রু কিশোর! অথবা এভাবেও বলা যায়, ‘ইত্যাদি’র মঞ্চে এন্ড্রু কিশোর ওঠা মানেই দর্শকদের কাছে বিশেষ চমক। কারণও আছে। অনুষ্ঠানটির স্রষ্টা হানিফ সংকেত আর এন্ড্রু কিশোরের ব্যক্তিগত সম্পর্কটা ছিল সবচেয়ে কাছের। স্বাভাবিক, জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এই কিংবদন্তি শিল্পীর সর্বাত্মক খোঁজ রেখেছেন নন্দিত উপস্থাপক-নির্মাতা হানিফ সংকেত। এই মৃত্যুর খবরটি তার কাছে স্বাভাবিক ঘটনা হলেও বেদনাটা অনেক গভীরের।
তাই তো নিজের ফেসবুক পেজে প্রতিক্রিয়াটি জানালেন এভাবে:
‘এন্ড্রু কিশোর আর নেই’, প্রিয় বন্ধুর মৃত্যু সংবাদটি নিজের হাতে এত তাড়াতাড়ি লিখতে হবে- কখনও কল্পনা করিনি। এই মুহূর্তে কানে বাজছে রাজশাহী থেকে বলা কিশোরের শেষ কথাগুলো, ‘দোয়া করিস বন্ধু, কষ্টটা যেন কম হয়। আর হয়তো কথা বলতে পারবো না।’ ‘এরপরই খুব দ্রুত শরীর খারাপ হতে থাকে কিশোরের। আর আমারও যোগাযোগ বেড়ে যায় রাজশাহীতে তার পরিবারের সঙ্গে। অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে আজ সন্ধ্যায় এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় এন্ড্রু কিশোর। বাংলা গানের ঐশ্বর্য, যার খ্যাতির চাইতে কণ্ঠের দ্যুতিই ছিল বেশি। যার মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেলো। অনেক কষ্ট পেয়েছি বন্ধু, এতো তাড়াতাড়ি চলে যাবি ভাবিনি।’
ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে সোমবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিটে রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এন্ড্রু কিশোর। প্রায় ১৫ হাজার গানে কণ্ঠ দেওয়া এই শিল্পী ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।