২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচ ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল শ্রীলংকা– এমন গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন খোদ সাবেক লংকান ক্রীড়ামন্ত্রী মাহিন্দানন্দা আলুথগামাগে।
সেই ম্যাচটি পাতানো ছিল দাবি করে গত ১৮ জুন সিরিসা টিভিকে তিনি বলেছিলেন, আমরা ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনাল বিক্রি করেছি। আমি তখনকার ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলাম। আর এ কথাটি আমি বিশ্বাস করি।
মাহিন্দানন্দার এমন বক্তব্যে ক্রিকেটবিশ্বে তোলপাড় শুরু হয়। এমন দাবির সপক্ষে প্রমাণ চান সেই ম্যাচের লংকান দলের অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা।
প্রমাণ সাপেক্ষে মাহিন্দানন্দা বলেছিলেন, ফাইনালের আগে স্কোয়াডে কিছু পরিবর্তন আনা হয়। সেসব পরিবর্তনের ব্যাপারে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে কোনো ধরনের অনুমতি নেয়া হয়নি তখন। ক্রীড়ামন্ত্রী হয়েও তিনি কিছুই জানতেন না।
উদাহরণ দিতে গিয়ে সাবেক এই ক্রীড়ামন্ত্রী বলেছিলেন, ‘একদম শেষ দিকে গিয়ে হুট করেই শ্রীলংকা থেকে দুজন ক্রিকেটারকে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্রিকেট বোর্ড কিংবা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কোনো অনুমতিও নেয়া হয়নি।’
আর এমন বক্তব্যের পরই ফেঁসে যাচ্ছেন মাহিন্দানন্দা আলুথগামাগে। মাহিন্দানন্দা সেই বক্তব্য আংশিক সত্য কিন্তু অনেকটাই মিথ্যাচার বলে রিপোর্ট দিয়েছে তদন্তকারী দল। সানডে টাইমসের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, ফাইনালের আগে ইনজুরি সমস্যায় ভুগছিলেন দলের দুই তারকা ক্রিকেটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও মুত্তিয়াহ মুরালিধরন। তাই তাদের ব্যাকআপ হিসেবে বাঁহাতি পেসার চামিন্দা ভাস ও অফস্পিনার সুরজ রান্দিবকে উড়িয়ে নেয়া হয়।
কিন্তু এ দুজনকে নেয়ার ব্যাপারে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেয়া হয়েছিল বলে প্রমাণ মিলেছে। এ প্রসঙ্গে ২০১১ সালের ৩০ মার্চ ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি অনুমতিপত্র দিয়েছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই তথ্যপ্রমাণের পর মাহিন্দনন্দারের সেই বক্তব্য পুরোপুরি মিথ্যা হয়ে যাচ্ছে।
উল্টো প্রশ্ন উঠেছে– যদি ফাইনাল বিক্রির জন্যই সেই দুই খেলোয়াড়কে উড়িয়ে নেয়া হয়, তা হলে সেটির অনুমতি কেন দিলেন তখনকার ক্রীড়ামন্ত্রী মাহিন্দনন্দার? নিজের অভিযোগে এখন নিজেই ফেঁসে যাচ্ছেন মাহিন্দনন্দার।
তথ্যসূত্র: সানডে টাইমস, নিউজ ওয়ার