আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা হার্ট ফাউন্ডেশনের মালিক চিকিৎসক ডা. ফয়সাল আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সিরিয়াল না মেনে রোগী দেখার প্রতিবাদ করায় এক নারী রোগীকে জুতা দিয়ে পিটিয়ে কান ধরে ওঠবস করিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে এছাড়া, মাকে বাঁচাতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন ওই রোগীর মেয়ে ।হার্ট ফাউন্ডেশনের মালিক চিকিৎসক ফয়সাল আহমেদের বাড়ি কাটিয়া আমতলায় এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার নারী বিউটি বেগম (৫৫) সাতক্ষীরা কলারোয়া থানার শাকদাহ এলাকার মোকাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী।এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সাতক্ষীরা সদর ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. শামিনুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুস সালাম বলেন, রোগীর স্বজনরা অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ নভেম্বর হার্ট ফাউন্ডেশনে সিরিয়াল দেন বিউটি বেগম। পরদিন ৯ নভেম্বর দুপুরে চিকিৎসা নিতে প্রথমে হার্ট ফাউন্ডেশনে গেলে সেখানকার কর্মকর্তারা চিকিৎসক ফয়সাল আহমেদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। সেখানে দীর্ঘ সময় সিরিয়াল থাকার পর তিনি দেখেন সিরিয়াল ভেঙে অনিয়ম করে ডাক্তার দেখানো হচ্ছে।
অভিযোগ করে এই ভুক্তভোগী নারী বলেন, ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে সমস্যার কথা বলার পর চিকিৎসক আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি চড় থাপ্পড় মারতে থাকেন। পরে মাথার চুলের মুঠি ধরে টানা হেঁচড়া করে পা থেকে জুতা খুলে আমার চোখে মুখে কানে ও মাথায় মারেন। এসময় উপস্থিত রোগীদের সামনে আমাকে কান ধরে ওঠবস করান ।তখন আমার মেয়ে থামাতে গেলে ডাক্তার আমার মেয়ের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকেও মারধর করেন। শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি ঘটান।
মাকে বাঁচাতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার ওই তরুণী বলেন, আমি আম্মুর ওখানে গিয়ে দেখি তাকে চুলের মুঠো ধরে নিচে নামিয়ে ফেলেছে। আমি বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারধর করে খারাপ স্পর্শ করেছে। এসময় ডাক্তার আমাকে ও আম্মুকে জুতা দিয়ে পিটিয়েছে।এসময় ডাক্তার আম্মুকে বলছে- তুই এখানে তিনবার সরি বলবি আর কান ধরে ওঠবস করবি।আম্মু বলছে- আমি তো কোনো অন্যায় করিনি কেন সরি বলবো, কান ধরে ওঠবস করবো।এ কথা বললেই আবার আম্মুকে জুতা দিয়ে মুখে বাড়ি মেরেছে।
ডাক্তার লাথি মেরে বলেছে- এই ভিখারি বাচ্চারে এখান থেকে সরা। ঘাড় ধরে এখান থেকে বের করে দে।
তিনি আরও বলেন, এ সময় আমি ফোনে ভিডিও করলে আমার ফোন কেড়ে নিয়ে রিসেট দিয়ে দেয়। পরে আমার মুখের উপর ফোন ছুড়ে মারে। ডাক্তারের নির্দেশে আল আমিন নামে এক কর্মচারী আমাদের গলা টিপে ধরে তাড়িয়ে দেন।
জানতে চাইলে হার্ট ফাউন্ডেশনের মালিক ডা. ফয়সাল আহমেদকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।