তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: আজ বৃহস্পতিবার শারদীয় দুর্গোৎসবের মহা সপ্তমী। সব মন্দিরেই সকাল থেকে সপ্তমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। মহা সপ্তমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭ বেজে ৫৩ মিনিটে। এছাড়াও চন্ডীপাঠের মাধ্যমে পূজা, দেবী-দর্শন, দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে দিনব্যাপী চলেবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ১৭৩টি পূজা মণ্ডপে পুজার্চনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পৌর এলাকার মাষ্টার পাড়া পূজা মণ্ডপে গিয়ে দেখা যায় পুজার আনুষ্ঠানিকতা চলছে। পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনিক ভট্টাচার্য সাথে কথা হলে তিনি সকলকে দূর্গোৎসব উপলক্ষে শান্তিপূর্ণ ভাবে আনন্দের মধ্যে অনুষ্ঠানিতা পালন করছেন।
সনাতন ধর্মীয় বিশ্বাস ও রীতি মতে ভক্তদের কষ্ট দূর করতে চলতি বছর দেবী দুর্গার আগমন দোলায় বা পালকিতে চড়ে, আর বিজয়া দশমীর দিন ঘোটকে বা ঘোড়ায় মর্ত্যলোক ছেড়ে কৈলাসে চলে যাবেন। পালকি বা দোলায় দেবীর আগমন বা গমন হলে ফলাফল হয় মড়ক। দেবী দুর্গার ২০২৪ সালে মর্ত্যে আগমন যেহেতু দোলায় হচ্ছে, তার ফল হতে পারে মড়ক, যা শুভ ইঙ্গিত নয়। এ ছাড়া দেবী স্বর্গে গমন করবেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়। শাস্ত্রমতে দেবীর গমন বা আগমন ঘোটকে হলে ফলাফল ছত্রভঙ্গ হয়। সেই নিরিখে ২০২৪ সালে দেবীর গমন ঘোড়ায় হওয়ার জেরে ফলাফল ছত্রভঙ্গ হতে পারে। শাস্ত্রমতে এই ঘোটকে গমনের ফলে সামাজিক ও রাজনৈতিক এলোমেলো অবস্থাকে ইঙ্গিত করে। এটি যুদ্ধ, বিগ্রহ, অশান্তি, বিপ্লবের ইঙ্গিত দিয়ে থাকে।
এরআগে গতকাল বুধবার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয় শারদীয় দুর্গোৎসবের আগমনী বার্তায় দুর্গাপূজা। রোববার (১৩ অক্টোবর) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী দূর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।