এনামুল হক রাশেদী: কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ৫ আগস্টের পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত থাকার সুযোগে ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবা সহ যাবতীয় উন্নয়ন ও সেবামুলক কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওয়াসিম হত্যার আরেক আসামী মোহাম্মদ বাদশা মিয়া মেম্বারের বিরোদ্ধে। সে রাজাখালী ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান-০১ বলেও জানা গেছে। ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটলেও স্বৈরাচারের দোসর হিসাবে খ্যাত আওয়ামী যুবলীগ পেকুয়া উপজেলা শাখার সহঃ সভাপতি, রাজাখালী ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৯ নং ওয়ার্ডের সাধারন সদস্য মোহাম্মদ বাদশা মিয়া এখনো উপজেলা পরিষদের আইন শৃংখলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় প্রতিনিধিত্ব সহ ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন ও নাগরিক সেবা প্রদান করায় এলাকায় জনমনে প্রচন্ড ক্ষোভ পরিলক্ষিত হয়েছে।
সম্প্রতি পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ৫ আগস্ট সারাদেশের মত রাজাখালী ইউপি কার্যালয়ও ক্ষূদ্ধ জনতার রোষানলের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, এরপর প্রায় ২ মাস অতিবাহিত হলেও পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বাদশা মেম্বার পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে, সুবিধা ভোগ করছে, কিন্তু পরিষদ ভবনের নুন্যতম সংস্কারও করেননি। পরিষদ কার্যালয়কে সম্পুর্ন অরক্ষিত রেখে শালিস, বিচার, টিআর, কাবিখা, ভিজিডি সহ সকল কার্যক্রম নিজ দায়িত্বে আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। অথচ পরিষদের চেয়ারম্যান যে মামলার আসামী হয়ে পরিষদের কার্যক্রম থেকে নিজেকে দুরে সরিয়ে রেখেছেন, সে হত্যা মামলার ৭৫ নং এজাহারভূক্ত আসামী মেম্বার বাদশাও। স্থানীয় জনতার প্রশ্ন, অন্তর্বর্তী সরকার রাস্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহনের পর স্বৈরাচারের দোসর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যার আসামীদের বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়ায় থাকলেও ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র পেকুয়ার ওয়াসিম হত্যার এজাহারনামীয় আসামী হয়েও জনরোষের কোন ধরনের তোয়াক্কা না করে নিজের পেশী শক্তির প্রভাব খাটিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে, এতে রাজাখালী ইউনিয়নের সাধারন জনতার মনে দিন দিন ক্ষোভের মাত্রা বেড়েই চলেছে। স্থানীয়দের দাবী, ওয়াসিম হত্যার ৭৫ নং এজাহার নামীয় আসামী মেম্বার বাদশাকে পরিষদের সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রেখে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তির আওতায় আনা হউক।
হত্যা মামলার আসামী হয়েও বাদশা মেম্বার কিভাবে ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন জানতে তার (—- 688) মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে পরিষদের অন্যান্য মেম্বারদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এ ব্যাপারে কেউ কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওয়াসিম হত্যা মামলার রিপোটেশন এখনো থানায় না যাওয়ার কারনে ওনি এব্যাপারে আপাতত কোন মন্তব্য করতে পারেননি। তবে মামলার ব্যাপারে থানায় নির্দেশনা আসার সাথে সাথে তদন্তপুর্বক আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনে সোপর্দ্দ করা হবে বলেও জানান তিনি।