করোনা মহামারীতে বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিকরা চাকরী হারানোসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ঘোষিত বাজেটে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ বাড়েনি। বরং গত বছরের বাজেটের তুলনায় তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি এবারের ঘোষিত বাজেটে। শ্রম-অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বরাদ্দ না বাড়লে সম্ভাবনাময় এই প্রবাসী আয়ের খাতটি ঝুকিতে পড়তে পারে।
বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে শক্তিশালী সূচক প্রবাসী আয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশের এক লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন অভিবাসী কর্মীরা। বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১১ মাসে ইতিমধ্যে এক লাখ ৩৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন। করোনা সংকটেও রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ হয়নি। অথচ এই সংকটকালে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য মাত্র ৬৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ করে প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী । তলানীতে থাকা এই বরাদ্দ কোনভাবেই করোনার ক্ষতি কমাতে সক্ষম হবে না বলে মনে করেন জনশক্তি বিশ্লেষকরা।
জনশক্তি রপ্তানীকারকদের সংগঠন বায়রা বলছে, বরাদ্দ কম হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদী উন্নতি সম্ভব হবে না এ খাতে। কারণ করোনায় শুধু কর্মীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বরং জনশক্তি রপ্তানীকারকরাও তাদের পুঁজি হারিয়েছেন। তবে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর মতে, বাজেটে বরাদ্দ কম হলেও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তা পেলে অভিবাসী শ্রমখাতে অর্থের কোন সমস্যা হবে না । বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজেটের বরাদ্দকৃত টাকা আর অনুদানের টাকায় ঢের পার্থক্য রয়েছে। তাই বরাদ্দ বাড়ানোর জোর দাবী সংশ্লিষ্টদের।
উৎসঃ এস টিভি