সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুইমাসের সাধারণ ক্ষমার কার্যক্রম শুরু হবে পহেলা সেপ্টেম্বর। আমিরাতের সরকারের ঘোষিত সাধারণ ক্ষমাকে কাজে লাগিয়ে বৈধতা পেতে প্রথমেই যে বিষয়টি গুরুত্ব পায় তা হলো পাসপোর্ট। বলা যায় বৈধতা পাওয়ার সুযোগ কাজে লাগানোর প্রাথমিক কাজ নিজের পাসপোর্ট ভ্যালিড রাখা৷ সেজন্য স্বল্প সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট সেবা আশা করেন প্রবাসীরা।
দুবাইয়ের রাসেল মিয়া জানান, ‘দুই বছর থেকে ভিসা না থাকায় পাসপোর্ট নবায়ন করেননি। দুই একদিনের মধ্যে পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদন করবো৷ আমরা আশা করবো কনস্যুলেট দ্রুত সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট নবায়নের ব্যবস্থা করবে।’
এ ব্যাপারে দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রেস সচিব আরিফুর রহমান বলেন, ‘সময় খুবই সীমিত তাই যারা সুযোগ কাজে লাগাতে চান তাদেরকে দ্রুত পাসপোর্টের সংশোধনী, নবায়ন বা হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্ট তৈরির জন্য আবেদন করা উচিৎ। এছাড়াও এখন থেকেই নতুন স্পনসর খোঁজে রাখা উচিৎ।’
আরিফুর রহমান কনসাল জেনারেলের বরাত দিয়ে বলেন, ‘দুবাই ও উত্তর আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন ইতোমধ্যে অবৈধদের বৈধতা লাভের সুযোগ হিসেবে সাধারণ ক্ষমাকে সামনে রেখে যাদের পাসপোর্ট নেই বা হারিয়ে গেছে কিন্তু আমিরাত সরকারের ঘোষিত ক্ষমার আওতায় এসে বৈধতা লাভ করতে চান সেক্ষেত্রে তারা মূল পাসপোর্টের কপি এবং পাসপোর্ট হারিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পুলিশের রিপোর্ট নিয়ে দ্রুত নতুন পাসপোর্ট করিয়ে নিতে হবে। এ সু্যোগ হাতছাড়া না করে বৈধতা লাভ করে দেশটিতে ভালোভাবে বসবাস করারও পরামর্শ দিয়েছেন।’
এদিকে সঠিক সময়ে পাসপোর্ট পাওয়া নিয়ে সন্দেহের ব্যাপারে খোলাসা করে কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন জানান, ‘নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্ট হাতে পেতে এক/দেড় মাস সময় লাগে। আবার কখনো কখনো এর চেয়েও বেশি সময় লেগে যায়। কারণ পাসপোর্টতো এখানে প্রিন্ট হয় না। প্রিন্ট হয় বাংলাদেশে। তারপরও স্বল্প সময়ে বা কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে যাতে পাসপোর্ট পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা করতে কনস্যুলেট সহযোগিতা করে যাবে।’