ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় রাসেল ভাইপার ও গোখরা সর্প দংশনে শনিবার সকালে ২ যুবক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতরা হলো- উপজেলার মাথাভাঙ্গা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে রাশেদ হোসেন (২২) ও পার্শ্ববতী আকোটেরচর গ্রামের শেখ সামসুদ্দিনের ছেলে আরিফ হোসেন (৩৬)। এদের মধ্যে রাশেদ হোসেনকে রাসেল ভাইপার সাপে কাটলে স্বজনরা চরভদ্রাসন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে প্রতিষেধক ইনজেকশন দেওয়ার পরও অসুস্থতা বাড়তে থাকলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আর গোখরা সর্প দংশনে আরেক আহত আরিফ হোসেনকে প্রতিষেধক ইনজেকশন দেওয়ার পর সে চরভদ্রাসন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
চরভদ্রাসন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা যায়, ঘটনার দিন সকাল ১০টায় রাশেদ হোসেন পদ্মা পারের পানিতে পাতা দোয়ারী উঠিয়ে মাছ নিয়ে বাড়ী ফিরছিল। এ সময় ফসলী মাঠের মধ্য থেকে রাসেল ভাইপার সাপ তাকে দংশন করলে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে আহতকে চরভদ্রাসন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ হাবিবা তাকে ১০টি প্রতিষেধক ইনজেকশন দেওয়ার পরও অসুস্থতা বাড়তে থাকে। ফলে তাকে জেলা শহরে রেফার্ড করা হয়।
সর্প দংশনে আরেক আহত আরিফ হোসেন অনেকদিন ধরে এলাকায় সাপ ধরে পৌষত এবং আনন্দচ্ছলে মানুষকে সাপের খেলা দেখানো অভ্যাস ছিল। ঘটনার দিন সকালে গ্রামের এক বাড়ীতে পাটখড়ির মাচার মধ্যে গোখড়া সাপ দেখতে পেয়ে সে পাটখড়ির পালা সরিয়ে সাপটি ধরে ফেলে। এ সময় ধৃত গোখড়া সাপটি তার বাম হাতের কব্জির উপরের অংশে দংশন করে।
হাসপতালে চিকিৎসাধীন আরিফ হোসেন জানায়, “গোখড়া সাপটি দংশন করার পরেও আমি এলাকাবাসীকে ধৃত সাপটি দিয়ে খেলা দেখিয়েছি এবং শরীরে সাপের বিষ নষ্ট করার জন্য আমার জানা গাছড়া ওষুধ খেয়েছি। কিন্তু সময় যত পার হচ্ছিল ততই আমার অস্থিরতা বাড়ছিল এবং চোখে ঘুম আসছিল। তাই হাসপাতালে এসে প্রতিষেধক ইনজেকশন নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছি”।