তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের খলিলপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদে অভিনব কায়দায় ভোট কারচুপির প্রমাণ পেয়েছেন আদালত। এতে আদালত ভোট পুনঃগণনা করে পরাজিত প্রার্থী সৈয়দ মুজাহিদ আলীকে ১০৩ ভোটের ব্যবধানে জয়ী ঘোষণা করেছেন।
আদালত সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৫ নং ওয়ার্ডে নির্বাচন করেন টিউবওয়েল প্রতীকে সৈয়দ মোজাহিদ আলী ও ফুটবল প্রতীকে মো. আবু সুফিয়ান। কিন্তু ভোট গণনার পূর্বে প্রিসাইডিং অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা অভিনব কায়দায় ফল ঘোষণা করে কেন্দ্র থেকে চলে যান। এতে ৯৮ ভোটের ব্যবধানে সৈয়দ মুজাহিদ আলীকে পরাজিত দেখানো হয়।
এরপর সৈয়দ মুজাহিদ আলী মৌলভীবাজার নির্বাচনী আদালতে মামলা করেন। বিচারক মুমিনুল হক দীর্ঘ বিচারকার্য সম্পাদন করে ব্যালট বাক্স তলব করেন এবং প্রকাশ্যে আইনজীবীদের উপস্থিতিতে আদালতে পুনরায় গণনা করা হয়। এতে দেখা যায়, টিউবওয়েল প্রতীকে ভোট পড়েছে ৬৮০টি ও ফুটবল প্রতীক ভোট পেয়েছেন ৫৭৭টি।
এ গণনায় কেউ কোনো আপত্তি না করায় আদালত টিউবওয়েল প্রতীকের সৈয়দ মোজাহিদ আলীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। গত ৩০ এপ্রিল মৌলভীবাজার সিনিয়র সহকারী জজ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুমিনুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আদালত ঘোষণা করেন, ফুটবল প্রতীকে মো. আবু সুফিয়ান বেআইনিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত প্রিসাইডিং অফিসার খালিশপুর মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মো. ইলিয়াছ আলী, রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোতাহের বিল্লাহর বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আইনজীবী জাহেদুল ইসলাম বলেন, আমার বাদী আদালতের মাধ্যমে ভোট পুনরায় গণনা করে সুষ্ঠু বিচার পেয়েছেন। বিবাদী বেআইনিভাবে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। অভিনব এ ভোট কারচুপির বিষয়টি উদঘাটন হয়েছে।