আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯:০০টার দিকে পর্তুগালে রাজধানী লিজবনের আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টে এসে পৌঁছায় বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজটি।
এই প্রথমবারের মতো পর্তুগালের রাজধানীতে অবতরণ করল লাল-সবুজ পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কোনো বিমান। বিশেষ এই সময়ে যাত্রীদের স্বাগত জানতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রুহুল আমিন সিদ্দীক ও দূতাবাসের তৃতীয় সচিব আব্দুল্লাহ আল রাজি।
রাষ্ট্রদূত সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং ঢাকা এয়ারপোর্টে যাত্রীদের অনাকাঙ্ক্ষিত ভোগান্তির জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করেন। আবার অনেক কষ্ট আর ভোগান্তির পরও পর্তুগালে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা।
অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে যাত্রীদের কো অর্ডিনেটর আহমদ হোসাইন জানান, আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া যে আমরা শেষ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। তিনি বলেন, প্রথম থেকেই একটি মহল নানা অপবাদ দিয়ে আমাদের এই যাত্রাকে বানচাল করার চেষ্টা করেছিল, আজকের এই দিনটি তাদের জন্য উপযুক্ত জবাব।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে আরেক যাত্রী বলেন, ‘আমাদের যাত্রাটা আরো আনন্দদায়ক হইতো, যদি গতকাল আমাদের এয়ারপোর্টে ভোগান্তিতে পড়তে না হইত।’ তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরো দায়িত্বশীল হবার অনুরোধ জানান।
শাহ হোসাইন নামের আরেক যাত্রী বলেন, কয়েকজন যাত্রী ভিসার মেয়াদ গতকাল শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা পর্তুগালে আসতে পারেননি। তাদের জন্য তিনি খুবই দুঃখপ্রকাশ করেন।তারা বাংলাদেশ বিমানের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ফ্লাইট ছিলো যাত্রী ভর্তি।
কোভিড-১৯-এর সোস্যাল ডিসটেন্সের কোনো রুল তারা ফলো করেনি। সবাই গাদাগাদি করে এসেছেন।
জাহির নামের আরেকজন যাত্রী এই চার্টার্ড ফ্লাইট আয়োজনের জন্য যারা শ্রম আর মেধা খরচ করেছেন তাদেরকে তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
Drop your comments: