পর্তুগালে অবতরণের অনুমতি না নিয়ে টিকিট বিক্রি করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে বিমানবন্দরে আসার যাত্রীরা পড়েছিলেন বিপাকে। বার বার ফ্লাইটের সময় পরিবর্তন করায় যাত্রীদের মধ্যে হৈ চৈ শুরু হয়ে যায়।
বুধবার (২৪ জুন) সকাল ১১ টায় দেশে আটকে পড়া ২৬৫ জন যাত্রী নিয়ে পতুর্গালের রাজধানী লিসবনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি চাটার্ড ফ্লাইটের।
কিন্তু বিমানবন্দরে যাত্রীরা পৌঁছানোর পর তাদের জানানো হয় ফ্লাইট টাইম ডিলে হয়ে ৪ টায় করা হয়েছে। কিন্তু ওই সময়েও ফ্লাইট ছাড়তে পারেনি বিমান।
ফ্লাইট ৪ টার পরিবর্তে আবারও রাত ১০ টায় ছাড়বে বলে জানানো হয় যাত্রীদের। কিন্তুু পরবর্তী ফ্লাইটও ছেড়ে যাবে কি না তা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। আর তাই বিমানবন্দরে অনিশ্চয়তা আর ভোভান্তিতে পড়েছে শতশত যাত্রী। যাত্রীদের অভিযোগ তাদের নিচ খরচে হোটেলে থাকতে বলা হয়েছে।
বিভিন্ন মাধ্যমে যাত্রীরা জানতে পারেন অবতরণের অনুমতি না মেলায় ফ্লাইট ছাড়তে পারছে না বাংলাদেশ বিমানের চাটার্ড ফ্লাইটটি। এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে আতংক ও হৈ চৈ শুরু হয়ে যায়।
পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশি স্নেহা জামান নামের একজন বলেন, এই করোনার মধ্যে সেই খুলনা থেকে এত কষ্ট করে এসেছি। এখন হোটেলও পাওয়া যায় না যে সেখানে উঠবো এসে।
যেনতেনভাবে রাতটা পার করে অনেক কষ্ট করে এসেছি কিন্তু কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতা এতগুলো মানুষকে বিপদে ফেলছে।
পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশি আম্মার হোসাইন বলেন, মহামারির এই সময়ে দূর দূরান্তে যাওয়াটা যেন একটা যুদ্ধ। এত কষ্ট করে এসে এমন ভোগান্তি সত্যিই কষ্টকর। তারা আগে অনুমতি নিয়ে পরে টিকিট বিক্রি করতো, তাহলে সাধারণ মানুষের এত ভোগান্তি তো হতো না।
এ প্রসংগে বিমানের জনসংযোগ কর্মকর্তা তাহেরা খন্দকার বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছেন, পর্তুগাল দূতাবাস জানিয়েছিল আজকেই ফ্লাইটের অনুমোদন মিলবে।
তাই টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল। এ বিষয়ে কাজ চলছে।
এদিকে শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক জানিয়েছেন, ফ্লাইট বিলম্ব হবে। বাংলাদেশ বিমানের চাটার্ড ফ্লাইটটি বিকাল ৪ টায় পর্তুগালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য জনপ্রতি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা করে টিকিট বিক্রি করেছে বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ।
সুত্র -সময় নিউজ