লাবিব হাসান, পটুয়াখালী: আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-১ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব মার্কার প্রার্থী নাসির উদ্দিন তালুকদারের বিরুদ্ধে জনকর্ম সহায়ক সোসাইটি (জনক) নামক এনজিও সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পদে থাকাকালীন সময়ে গ্রাহকদের প্রায়
আশি লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলা করেছে ভুক্তভোগী মোঃ সাইফুল্লাহ নামে এক ব্যাক্তি। ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আশিকুর রহমান মামলাটি আমলে নেন। যার মামলা নং -২২৮/২৩। এছাড়া মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে বাদীর আইনজীবী এ্যাড. ফোরকান রতন নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী সাইফুল্লাহ বলেন, সদর উপজেলার জৈনকাঠী ইউনিয়নের পূর্ব জৈনকাঠী গ্রামের মৃত হাকিম তালুকদারের ছেলে মো. নাসির উদ্দিন তালুকদার পশ্চিম জৈনকাঠীর চন্দনবাড়িয়া স্থানে জনকর্ম সহায়ক সোসাইটি (জনক) নামক একটি এনজিও অফিস করে। পরবর্তীতে পটুয়াখালী পৌরসভার কলেজ রোড এলাকার জাকিয়া মঞ্জিল ভবনের নিচতলায় উন্নতমানের আসবাবপত্র ও অফিসিয়াল সাজসজ্জায় সজ্জিত করে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কিছু কাগজপত্র নিয়ে জনক নামক এনজিও অফিস খুলে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে জৈনকাঠী এলকার প্রায় পাঁচশতাধিক সাধারন গ্রাহকদের কাছ থেকে আনুমানিক ৮০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হন নাসির উদ্দিন তালুকদার। পরে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জনক অফিসে গিয়ে নাসির তালুকদারকে না পেয়ে অফিসে থাকা জনক’র সভাপতি ১ নং আসামী নাসির উদ্দিন তালুকদারের আপন মামা মামলার ২ নং আসামি মো. মোস্তফা জামাল (৫৫), তার চাচা নির্বাহী সদস্য ৩ নং আসামি আঃ হাই তালুকদার (৬৫), স্ত্রী লাইজু পারভীন (৪০) কোষাধ্যক্ষ ৪ নং আসামি, দপ্তর সম্পাদক আপন খালু ৫ নং আসামি এনায়েত হোসেন(৬০), শ্যালিকা কাকুলী (৩৫) সাংগঠনিক সম্পাদক ৬ নং আসামি ও ভায়রা সহ- সভাপতি মো. সহিদুল ইসলাম (৪০) ৭ নং আসামীদের কাছে জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, সব টাকা আত্মসাত করেছে নাসির তালুকদার। তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই, যোগাযোগ নাই।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিলে খবর পেয়ে নাসির তালুকদার আত্মগোপন থেকে এসে সকল গ্রাহকদের সমুদয় টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে জনকর্ম সহায়ক সোসাইটি জনক এর নির্ধারিত প্যাডে ২৩ টি চুক্তিপত্রে ২৯,৯৫,০০০ টাকা ও সঞ্চয়ই জমার পাসবইয়ের ৬,২৬,৪৪০ টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন নাসির। এ ছাড়াও বিগত ০৫.০৭.২০১২ ই তারিখ ১৫০ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে এক বছরের মধ্যে সকল গ্রহকের সমুদয় টাকা ফেরত দিবে মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা প্রদান করেছিলেন জনক এনজিওর সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন তালুকদার। পরে ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে চারটায়
জৈনকাঠীস্থ জনক কার্যালয়ের সামনে বাদী মো. সাইফুল্লাহসহ ১৩ জন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা পাওনা টাকার বিষয় জিজ্ঞাসা করলে নাসির তালুকদার সু- কৌশলে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে বলে নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত আছি৷ কোন টাকা পাবিনা পারলে আদায় করিস বলে দ্রুত চলে যায়।
এ বিষয়ে নাসির উদ্দিন তালুকদার বলেন, এটা প্রায় ২০ বছর আগের ঘটনা। তারা যদি আমার কাছে টাকা পেতো তবে এতোদিন কিছু বলেনি কেন। এখন নির্বাচনে মানুষকে ভুল পথে প্রভাবিত করার জন্যই আমার বিপরীত লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী টাকা খাইয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এছাড়া লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী জনপ্রতি ১ হাজার টাকা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করিয়েছে তার ভিডিও ফুটেজ আছে আমার কাছে। নির্বাচনের শেষ মুহুর্তে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।