বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে হ্যান্ড স্যানিটাইজার কার্যকর বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। এ সুযোগে বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে নকল হ্যান্ড স্যানেটাইজার। তাই মেক্সিকোর দুটিসহ নয়টি ব্র্যান্ডের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)।
শুক্রবার লাভারজেল ও ক্লিন ক্লিয়ার নোজার্ম নামের দুটি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের পরীক্ষায় ৮১ ও ২৮ শতাংশ ম্যানথল মিলেছে বলে জানায় ওই সংস্থা। এটি কাঠের অ্যালকোহল নামেও পরিচিত। হ্যান্ড স্যানিটাইজারে ম্যানথল উপাদান গ্রহণযোগ্য নয়। এতে ত্বকে বিষাক্ত প্রভাব ফেলতে পারে।
লাভারজেল ও ক্লিন ক্লিয়ার নোজার্ম হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মালিক মেক্সিকোভিত্তিক এস্কবায়োকেম কোম্পানি। এরইমধ্যে কোম্পানিটি সব পণ্য বাজার থেকে তুলে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে এফডিএ।
এফডিএ সতর্কতায় যেসব ব্র্যান্ডের হ্যান্ড স্যানিটাইজার:-
১. অলক্লিন হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ২. এস্কবায়োকেম হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ৩. ক্লিনকেয়ার নোজার্ম, ৪.লাভারজেল হ্যান্ডস্যানিটাইজার, ৫. গুডজেল অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল হ্যান্ড সানিটাইজার, ৬. ক্লিনকেয়ার অ্যাডভান্স, ৭. ক্লিনকেয়ার নোজার্ম অ্যাডভান্স, ৮. সানিডার্ম অ্যাডভান্স ও ৯. ক্লিনকেয়ার হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
এফডিএ জানায়, ৯ ব্র্যান্ডের হ্যান্ড সানিটাইজারে মিথানলের পরিমাণ ৭৫ থেকে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত রয়েছে। এসব হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারকারীরা দ্রুত চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন। এগুলো বেশি পরিমাণে ব্যবহার করলে বমিভাব, মাথা ব্যথা, ঝাপসা দৃষ্টি, স্থায়ী অন্ধত্ব, খিঁচুনিসহ স্নায়ুতন্ত্রের স্থায়ী ক্ষতি বা মৃত্যু হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রোগ প্রতিরোধ সংস্থা বলছে, স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরিবর্তে সাবান ও পানিতে হাত ধোয়া উত্তম্য। আর সেই সব হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার ভালো, যেগুলোতে ৬০ শতাংশের নিচে অ্যালকোহল রয়েছে।
সূত্র- নিউইয়র্ক টাইসম ও এফডিএ