বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ধূমপান হয় জর্ডানে। দেশটির প্রতি ১০ জন পুরুষের মধ্যে ৮ জনের বেশি পুরুষ নিয়মিত ধূমপান করেন বা ই-সিগারেটের মত নিকোটিনজাতীয় পণ্য গ্রহণ করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে মিলে গত বছর করা এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপ অনুসারে, গড়পড়তায় জর্ডানের একজন ধূমপায়ী পুরুষ দিনে ২৩টি সিগারেট পান করেন। নতুন এ তথ্যের হিসাবে, বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ ধূমপায়ী দেশ হয়ে উঠেছে জর্ডান। এর আগে এ স্থানে ছিল ইন্দোনেশিয়া। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
জরিপটি উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, ই-সিগারেট ও অন্যান্য ধূয়াহীন পণ্য বাদ দিলেও ৬৬ শতাংশ জর্ডানিয়ান পুরুষ ও ১৭ শতাংশ নারী নিয়মিত ধূমপান করেন। এদিকে, জর্ডানের বিপরীত চিত্র দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও কিছু ইউরোপীয় দেশে।
সেদেশগুলোয় গত তিন দশক ধরে দ্রুত কমছে ধূমপানের হার। ধারণা করা হচ্ছে, তামাকজাত পণ্যগুলোর উপর সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এ হার কমেছে। শিল্প বিশ্লেষক ও জনস্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, বড় বড় তামাকজাত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রভাবের কারণে জর্ডানে ধূমপানের হার বেড়েছে। দেশটির সরকার তুলনামূলকভাবে তাদের অধিকতর সুযোগ দিচ্ছে। অন্যান্য নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর পরিস্থিতিও অনেকটা এরকমই।
আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুতের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অধ্যাপক রিমা নাক্কাশ বলেন, ধনীদেশগুলোতে যেমন তামাকজাত প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন রাজনৈতিক ক্ষমতা খাটাতে পারে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতেও একইরকম ক্ষমতাই খাটিয়ে থাকে। কিন্তু নিম্ন আয়ের দেশগুলোয় স্বচ্ছতার ঘাটতির কারণে তাদের সফলতার হার বেশি। প্রতিষ্ঠানগুলো সেখানে আড়ালে বেশি কাজ করার সুযোগ পায়।