গত কয়েক বছর ধরেই ফুটবলে অগণিত টাকা বিনিয়োগ করে চলছে সৌদি আরব। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, করিম বেনজেমা, নেইমার জুনিয়র, সাদিও মানেদের মতো বিশ্ব তারকারা পাড়ি দিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যে। ফুটবলে বিনিয়োগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে তাদের মূল লক্ষ্য ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করা।
শোনা গিয়েছিল, ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য বিড করবে সৌদি আরব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২০৩৪ বিশ্বকাপের জন্য অস্ট্রেলিয়ার মতো বিড করে তারা। কিন্তু বিশ্বকাপ আয়োজনের আবেদন চূড়ান্তভাবে জমা দেয়ার মাত্র এক ঘন্টা আগে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম প্রত্যাহার করে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
সকারুরা নাম প্রত্যাহার করে নেয়ায় এককভাবে ২০৩৪ বিশ্বকাপ আয়োজনের আবেদনকারী দেশ হিসেবে দাঁড়ায় সৌদি আরব। তাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপটি মধ্যপ্রাচ্যের এই আরব দেশেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার বিষয়ে আর এগুবো না।’ তারা বিড থেকে সরে আসায় প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা সৌদিই এখন পেতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ।
এর আগে ফিফা এক নীতিমালায় বলেছিল, এএফসি এবং ওএফসি সদস্য দেশগুলো ২০৩৪ বিশ্বকাপ আয়োজনে বিড করতে পারবে। সে হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ও সৌদি সেই নীতিমালা মেনে বিড ধরার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু ফিফার দেওয়া ডেডলাইন (চূড়ান্ত সময়সীমা) শেষ হওয়ার ঘণ্টা খানেক আগেই অস্ট্রেলিয়া নতুন ঘোষণা দিয়েছে।
এফএ আরও জানিয়েছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি বয়োজ্যেষ্ঠ নারী দলের প্রতিযোগিতা আয়োজনে দৃঢ় অবস্থানে আছি। ২০২৬ সালে এএফসি ওমেন্স এশিয়ান কাপ আয়োজন করব আমরা। এরপর ২০২৯ সালে বিশ্বসেরা ক্লাবগুলোকে নিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করব।’
ফুটবল বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর (২০২৬) যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডায় অনুষ্ঠিত হবে। এর পরের বিশ্বকাপের মূল আয়োজক মরক্কো, স্পেন এবং পর্তুগাল। তবে, ওই আসরে বিশ্বকাপের শততম বর্ষ উদযাপন করবে ফিফা। সে কারণে স্পেন-পর্তুগাল এবং মরক্কোর সঙ্গে ফিফা সহ-আয়োজক হিসেবে রেখেছে উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে এবং আর্জেন্টিনাকেও। ফলে তিন মহাদেশের মোট ৬টি দেশ এই বিশ্বকাপটির আয়োজন করতে যাচ্ছে।