২০২৬ বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে এখনও অনেকটা সময় বাকি। তবে এরইমধ্যে শুরু হয়েছে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের খেলা। প্রাক্–বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ডে অ্যাওয়ে ম্যাচে এশিয়ার আরেক দেশ মালদ্বীপের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। জয় না পেলেও ড্র নিয়েই দেশে ফিরছে হাবিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) মালেতে অ্যাওয়ে ম্যাচে ১-১ সমতায় শেষ হয় খেলা। অতীত পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকলেও মদকাণ্ডে মোরসালিন, আনিসুর রহমান জিকো, তপু বর্মণদের মতো তারকা ফুটবলাররা না থাকায় বাংলাদেশকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে।
ম্যাচের শুরুতে তেমন কোনো জোরালো আক্রমণ করতে পারেনি কেউই। ম্যাচের ১৭তম মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার কর্নার সহজেই প্রতিহত করে মালদ্বীপের রক্ষণভাগ। এরপর ম্যাচের ২০তম মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। রানার ক্রস থেকে ঠিকঠাক শট করতে পারেননি রাকিব হোসেন।
এরপর ম্যাচের ২৩তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে ফ্রি কিক থেকে ফরোয়ার্ড আলি ফাসিরের শট জালের নিশানা খুঁজে পায়নি। ২৬তম মিনিটে গোলের আরও একটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। এবারও ফিনিশিংয়ে ব্যর্থতার পরিচয় দেন রাকিব।
৩৫তম মিনিটেও সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এবারও রাকিবের মাথার ওপর দিয়ে বল চলে গেলে হতাশ হতে হয় বাংলাদেশকে। বাকি সময়ে আর তেমন কোনো আক্রমণ না হওয়ায় গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই স্বাগতিকদের চাপে রাখে বাংলাদেশ। আক্রমণ থেকে রক্ষণে বেশি নজর দিতে দেখা যায় বাংলাদেশকে । কারণ ড্র নিয়ে দেশে ফিরতে পারলেও তা আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে। ৬৯তম মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে বাংলাদেশের রক্ষণভাগকে ফাঁকি দিতে পারেনি তারা।
এরপর ৮২তম মিনিটে বাংলাদেশের ডি বক্সে ডুকে যায় হাসান নাজিম। তবে অফসাইডের ফাঁদে পড়ে দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি তিনি। হতাশ না হয়ে ম্যাচের ৮৭তম মিনিটে দারুণ এক ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন নাজিম। ১-০ গোলে পিছিয়ে গিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। কে জানত তখনও নাটকীয়তার বাকি।
যোগ করা সময়ে সাদ উদ্দিনের দারুণ গোলে ১-১ সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। বাকি সময়ে আর তেমন কোনো আক্রমণ না হওয়ায় ১-১ সমতায় মাঠ ছাড়ে দুদল। পিছিয়ে পড়েও এমন ড্র বাংলাদেশকে উজ্জীবিত করবে বলে ধারণা ভক্তদের।
দুই দেশের দ্বিতীয় ম্যাচ ১৭ অক্টোবর ঢাকায়। অ্যাওয়ে ম্যাচে ড্র করায় দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে কিছুটা চাপে থাকবে বাংলাদেশ। কারণ দ্বিতীয় ম্যাচটি বাংলাদেশ খেলবে নিজেদের মাঠে। দর্শকদের চাপ সামাল দেওয়ার পাশাপাশি জয়ের কোনো বিকল্প নেই কাবরেরা শিষ্যদের সামনে।