বাসুদেব বিশ্বাস, বান্দরবান: বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের ক্যামলং ছড়ার ওপর নির্মিত একটি ব্রিজ ভেঙে দেবে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বেশ কয়েকটি পাড়ার বাসিন্দারা। বন্যার পানিতে ব্রিজটির অর্ধেক দেবে ভেঙে গেলেও নিত্য প্রয়োজনে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীরা।
সূত্রে জানা যায় ,আগস্ট মাসে বান্দরবানে টানা বৃষ্টি আর বন্যার কারণে বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের ক্যামলং ছড়ার ওপর নির্মিত একমাত্র ব্রিজটি দেবে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ব্রিজটি দেবে যাওয়ায় উভয় পাশে বড় যানবাহন থেকে মালামাল নামিয়ে আবার অন্য পাশে গিয়ে চরম দুর্ভোগ শেষ করে মালামাল পরিবহন করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুধু তাই নয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছেন স্থানীয়রা, যেকোনো সময় ব্রিজটি পুরোপুরিভাবে ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রহিম বলেন, এমনিতেই ব্রিজটি আগে থেকে প্রায় ভেঙে যেতে বসেছিল আর সম্প্রতি আগস্ট মাসে বান্দরবানে কয়েকদিন টানা বৃষ্টি আর বন্যার কারণে পানি ওঠে ব্রিজটি অর্ধেক ভেঙে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে পুরোপুরি ভেঙে যেতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা নু মং বলেন, এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য জনসাধারণ চলাচল করে, কিন্তু ব্রিজটির করুণ দশা দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।
জানা যায়, ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় কুহালং ইউনিয়নের ক্যামলং পাড়া, ভাঙামুড়া পাড়া, বড়ুয়া পাড়া, মারমা পাড়া, ঢলু পাড়া, চেমীর মুখ, গোয়ালিয়া খোলাসহ কয়েকটি পাড়ার প্রায় পাঁচ হাজার বাসিন্দাদের এখন পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। আগে যে পরিমাণ যানবাহন এই সড়কে চলাচল করতো এখন ব্রিজ ভাঙা থাকায় যানবাহনের পরিমাণ কমে গেছে আর যানবাহনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি বেড়েছে দ্বিগুণ।
এদিকে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বান্দরবান এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়াউল ইসলাম মজুমদার জানান, গেল আগস্ট মাসের বন্যায় বান্দরবান পার্বত্য জেলায় স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ৩৩৮ মিটার ব্রিজ নষ্ট হয়েছে, আর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ২৪২ কিলোমিটার সড়ক, টাকার হিসেবে যা প্রায় ১৪৩ কোটি টাকা। তিনি আরও বলেন, বান্দরবানে বিভিন্ন সড়ক ও ব্রিজের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ শেষে ক্ষতিগ্রস্থ অবকাঠামোগুলো দ্রুত সময়ে মেরামত করা হবে।