ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: ফরিদপুরে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চালক রবিন কে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যাকারী নাঈম খান কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলেনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।জানা যায়, আসামী নাঈম খান সদরপুর উপজেলার মীরের ডাঙ্গী গ্রামের মোয়াজ্জেম খানের ছেলে। এই ঘটনায় ছিনতাই হওয়া রিক্সাসহ অপর একজন কে আটক করা হয়। সংবাদ সম্মেলেনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অপস্) শেখ মো: আব্দুল্লাহ বিন কালাম জানান, গত ১৫ই জুলাই জেলার সদর উপজেলার কোতয়ালী থানাধীন গজারিয়া পাটপাশা ব্রীজের নিকট মেহেগুনি বাগানের ভিতর থেকে গলায় গামছা পেচানো অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরে উদ্ধার হওয়া লাশটি সনাক্ত করে জেলার সদরপুর থানার হালিম চৌধুরী ডাঙ্গী গ্রামের ইকলাছ মোল্যা বাদী হয়ে ছেলে হত্যার একটি অভিযোগ দায়ের করে।গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ই জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় হত্যাকারী নাঈম কে জেলার চরভদ্রাসন থানার বিএস ডাঙ্গী থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে নিহতের ব্যাটারিচালিত রিক্সাসহ অপর একজন কে আটক করে পুলিশ।
এই ঘটনায় হত্যাকারীর তথ্যানুযায়ী পুলিশ কর্মকর্তা জানান, নিহত অটোরিক্সা চালক রবিন ও লেগুনা চালক নাঈম পরস্পর পরিচিত। গত ১৫ জুলাই সকালে রবিনের রিক্সায় করে ফরিদপুর শহরের পতিতা পল্লীতে আসার উদ্দেশে রওনা দেয়। শহরে ব্যাটারী চালিত রিক্সা পুলিশে ধরতে পারে সে কারণে রিক্সাটি কোথাও রেখে যাওয়ার কথা বলে। নিহত রবিন কে শহরে পাঠিয়ে দিয়ে কৌশলে রিক্সাটি ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়ে দুজনে পতিতলায় যায়। সেখানে থেকে ফেরার পথে বরিন তার রিক্সার কথা জানতে চাইলে কৌশলে গজারিয়ার পাটপাশা ব্রীজের পাশে মেহেগুনী বাগানে নিয়ে গলায় গামছা পেচিয়ে তাকে হত্যা করে নিহতের দুটি ফোন নিয়ে চলে যায়।
তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে খুনিকে চিহ্নিত করে রিক্সা ও মোবাইল সহ তাকে আটক করা হয়।পরে হত্যাকারী ও চোরাই রিক্সা ক্রয়কারী আসামীদের কোর্টে প্রেরন করা হয়। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্র্মকর্তা এম.এ. জলিলসহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সংবাদিকবৃন্দ।