পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ঘোষণা করেছেন যে, আগামী মাসে তার সরকার বিলুপ্ত হবে এবং একটি কেয়ারটেকার সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করবে। সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড
তিনি বলেন, গত বছর এপ্রিলে দেশ পরিচালনার পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে জাতি তাকে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব অর্পন করেছিল। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে এ টিভি ভাষণে অক্টোবরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ইঙ্গিত দেন শেহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, ১৩ আগষ্ট বর্তমান দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হবে। ১৯৭৩ সালের বর্তমান সংবিধান প্রণয়নের পর এটি দেশটির দশম পার্লামেন্ট।
এ পার্লামেন্ট ২০১৮ সালের ১৮ আগষ্ঠ প্রথমে তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করে। তবে গত বছর এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে তাকে প্রধানমন্ত্রী পদ হারাতে হয়। এরপর পার্লামেন্ট পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) সভাপতি শেহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করে। তিনি পাকিস্তান ডেমেক্র্যাটিক মুভমেন্ট বলে পরিচিত ১১ দলীয় কোয়ালিশনের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
ইমরান খান ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই তিনি নতুন নির্বাচন দেওয়ার দাবি করে আসছেন।
পাকিস্তানে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলের নেতা মিলে কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নির্ধারণ করেন। তারা এটি করতে ব্যর্থ হলে পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষে সদস্যদের নিয়ে একটি কমিটি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। এ কমিটিতে সরকার ও বিরোধীদলের সমান সংখ্যক সদস্য থাকে। এ কমিটি ব্যর্থ হলে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে ন্যস্ত করা হয়। তখন নির্বাচন কমিশন সরকার ও বিরোধীদলের প্রস্তাবিত চার জন প্রার্থীর মধ্যে একজনকে কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করবে।