ঢাকায় সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেনি জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলেছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিরা সবাই নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আসেনি। বিদেশিরা সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে, সংসদ ভেঙে দিতে বা প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলবে বিএনপি এমন মনোভাব দেখিয়ে অপপ্রচার করলেও তা হয়নি।
বিদেশিরা বাংলাদেশে শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন চায় জানিয়ে তিনি বলেন, তারা নিষেধাজ্ঞা বা অন্য কোনো কথা বলেনি।
বিএনপি বিদেশিদের কাছ থেকে পক্ষপাতমূলক আচরণ আশা করেছিল মন্তব্য করে কাদের বলেন,
বিদেশিদের কাছ থেকে আশানুরূপ কিছু পায়নি বিএনপি। বিএনপি এখানে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন ভণ্ডুলের ষড়যন্ত্র করছে, নির্বাচনে সহিংসতা হলে বিএনপিকেই তার দায় নিতে হবে।
কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ উসকানি দেবে না, যারা শেখ হাসিনার ক্ষমতাকে ভয় পায় তারা উসকানি দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,
শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে থাকবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষা করবে। আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠনের কোনো উসকানির কারণে নির্বাচন নিয়ে বিশৃংখলা হোক- সেই দুর্নাম নিতে আওয়ামী লীগ রাজি না।
এখন থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সমাবেশের নাম হবে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপি গণ অভ্যুত্থানের ডাক দিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচি দেয়ায় তাদের কর্মীরা হতাশ। হাকডাক দিলেও সরকার উৎখাতে যে শক্তি দরকার বিএনপি তা যোগাতে পারছে না।
যুবলীগকে শান্তি সমাবেশ ও ছাত্রলীগকে ছাত্র সমাবেশ করতে নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।