কুমিল্লায় প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে এলাকার অসহায় মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় সহ বিভিন্ন ধরনের স্বার্থ হাসিলের অভিযোগ উঠেছে সোহেল নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। সোহেল কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার পূর্বআরা ভূইয়া বাড়ির ডাক্তার মৃত ইসমাইলের ছেলে। সোহেল দীর্ঘদিন ধরে তার শশুর বাড়ি সদর উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় শশুর বাড়িতে বসবাস করেন। সৈয়দপুর এলাকাবাসী জানায়, সোহেল এলাকার মানুষকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে। প্রশাসনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হাতিয়ে নেয় নগদ অর্থ। এছাড়াও সোহেলের স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়েও রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ। তার স্ত্রী ও মেয়ের বিষয়ে রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ।
গত কয়েকদিন আগে সৈয়দপুর এলাকার মৃত সুন্দর আলীর ছেলে মোঃ হান্নানের প্রবাস ফেরত সন্তানের কাছে ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। আমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি ধমকি দেয়। এবিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছে মোঃ হান্নান।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সোহেল আমাদের এলাকায় বিয়ে করে ঘর জামাই থাকে। বিবাদীর নিজস্ব কোন পেশা নাই। তুচ্ছ বিষয়াদী নিয়ে বিবাদী এলাকার যেকোন লোকজনদের সহিত বিবাদী যেকোন কথার সূত্র ধরে থানায় অভিযোগ দিয়ে অযথা হয়রানী করিয়া থাকে। বিবাদীর স্বভাব-চরিত্র বাল না। চাঁদাবাজী ও এলাকার বিভিন্ন বিষয়ে দালালী বিবাদীর একমাত্র পেশা। আমি নতুন বাড়ী নির্মান করিয়াছি এবং সদ্য কিছু দিন হয় আমার দুই ছেলে প্রবাস থেকে দেশে এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিবাদী আমার নিকট ৫০,০০০/= (পঞ্চাশ হাজার) টাকা চাঁদা দাবী করিয়া আসিতেছে। বিবাদীকে চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে, বিবাদী আমাকে ও আমার পরিারের লোকজনদের জান-মালের ক্ষয়-ক্ষতি করিবে মর্মে হুমকী-ধমকী অব্যাহত রাখিয়াছে। এরই জের ধরে অত্র অভিযোগের ঘটনার তারিখ ও সময়ে ঘটনাস্থলে বিবাদী সোহলে তাহার সঙ্গীয় অজ্ঞাতনামা বিবাদীসহ আমার নিকট ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি বিবাদীকে চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে, বিবাদীদ্বয় আমাকে গাল মন্দ বলে এবং আমার ও আমার পরিবারের লোকজনদের জান-মালের ক্ষয়-ক্ষতি করিবে মর্মে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। বিবাদী খুবই খারাপ এবং উশৃংখল লোকজন বিধায় স্থানীয় লোকজন বিবাদীর বিচার সালিশ করিতে রাজী হয় না। স্থানীয়ভাবে বিবাদীর সহিত আপোষ-মীমাংসার চেষ্টায় ব্যর্থ হইয়া অভিযোগ দায়েরে বিলম্ব হইল ।
এবিষয়ে সোহেল ভূইয়া জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অপবাদ দেয়া হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার পরিবারে এমন কোন ক্রাইম রিপোর্ট নাই। চাঁদা আদায়ের বিষয়টিও মিথ্যা।