নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোজিনা খাতুনের সরকারি গাড়ি চালককে মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ ভবনে প্রকাশ্যে চায়নিজ কুড়াল ও হাঁসুয়া নিয়ে ধাওয়া করেছেন এক যুবলীগ নেতা ও তার সহযোগী। এ ঘটনায় ইউএনও রোজিনা খাতুন বিকালে নলডাঙ্গা থানা, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ধাওয়াকারী মো. আহসান হাবিব নলডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি উপজেলার মাধনগর গ্রামের মৃত হামিদ মাস্টারের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যুবলীগ নেতা আহসান হাবিব এক সহযোগীসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে ইউএনও’র গাড়ি চালক রুবেল হোসেনকে হত্যার উদ্দেশে নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের নিচতলায় আক্রমণ করে। তখন রুবেল প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে নিচ তলা থেকে তৃতীয় তলায় উঠে আসে। অস্ত্রধারীরাও তার পিছু ধাওয়া করে দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত আসে। এ সময় কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা গাড়ি চালক রুবেল হোসেনকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলে অস্ত্রধারীরা তার প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
গাড়ি চালক রুবেল হোসেন জানান, তার বড় ভাই খোকন রেন্ট-এ-কারের ব্যবসা করেন। যুবলীগ নেতা আহসান হাবিব ঈদের আগে খোকনের প্রাইভেট কার ভাড়া নিয়ে ৫ দিন রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করেন। অথচ ভাড়া পরিশোধ না করেই টালবাহানা করতে থাকেন যুবলীগ নেতা হাবিব। এ নিয়ে মঙ্গলবার সকালের দিকে তার ভাইয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটি হয় হাবিবের। এ সময় ভাড়া পরিশোধের কথা বললে হাবিব খোকনের ছোট ভাই রুবেলকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক খোকন ছোট ভাই রুবেলকে জানায়। এর কিছুক্ষণ পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাবিব রুবেলকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে ইউএনও অফিসের সামনে নিয়ে যায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে মারতে গেলে দৌড়ে ইউএনও অফিসে ঢুকে পড়েন রুবেল। পরে বিষয়টি ইউএনও ও পুলিশকে জানান। রুবেল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল যেহেতু উপজেলা কমপ্লেক্স, তাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।