বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ মোংলা বন্দরে সবচেয়ে বেশি গভীরতা সম্পন্ন কন্টেইনারবাহী জাহাজ এম ভি ফিলোটিমো (গিয়ারলেস জাহাজ) বন্দরের ৭ নং জেটিতে নোঙ্গর করেছে। জেটিতে প্রতিনিয়ত ড্রেজিং করার ফলে মোংলা বন্দরে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। পশুর চ্যানেলে ও জেটি ফ্রন্টে ড্রেজিংয়ের ফলে এখন ৮ মিটার গভীরতার জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছে মোংলা বন্দর কতৃপক্ষ
সোমবার (২৬ জুন) দুপুর ২টার দিকে মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে রবিবার (২৫ জুন) বিকাল ৪টার দিকে বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে পানামা পতাকাবাহী ১৭২ মিটার দৈর্ঘের এম ভি ফিলোটিমো (গিয়ারলেস জাহাজ) জাহাজটি নোঙর করে। জাহাজটিতে ৭৫০ টিইউজ কন্টেইনার এসেছে এর মধ্যে ২১১ টি ৪০ ফিট কন্টেইনার ও ৩২৮ টি ২০ ফিটের কন্টেইনার রয়েছে।
এরও আগে, ২৭ মার্চ প্রথম কন্টেইনারবাহী ০৮ মিটারের গভীরতার জাহাজ বন্দরের জেটিতে নোঙ্গর করেছিল। নিয়মিত ড্রেজিংয়ের ফলে এ সফলতা এসেছে। এখন থেকে আট মিটার গভীরতার জাহাজ আসতে আর কোনও বাধা থাকবে না এবং ভবিষ্যতে আরও অধিক ড্রাফটের জাহাজ কীভাবে এখানে ভেড়ানো যায় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, বন্দর জেটিতে নিয়মিত ৮ মি. গভীরতার কন্টেইনার জাহাজ আগমন মোংলা বন্দরের জন্য একটি নবধারার সূচনা। বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনায় ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সহযোগীতার ফলে মোংলা বন্দর এখন বিশ্বমানের বন্দরে রূপান্তরিত হয়েছে। বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে কয়েক গুণ। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকার গার্মেন্টস পন্যসহ অন্যান্য সকল ব্যবসায়ীদের মোংলা বন্দর ব্যবহারের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। এর সুফল হিসাবে মোংলা বন্দর এলাকায় গড়ে উঠেছে শিল্প-কারখানা, যা তৈরী হয়েছে মহাকর্মযোগ্য সৃষ্টি হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান যা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মোংলা বন্দর তথা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকার পশুর চ্যানেলের ড্রেজিং কাজ চলমান রেখেছে, ফলশ্রুতিতে মোংলা বন্দরে এখন থেকে আরোও অধিক গভীরতা সম্পন্ন জাহাজ অনায়াসে আগমন-নির্গমন করতে পারবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।