আনুষ্ঠানিকতার নামে পাসপোর্ট অফিসে সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন পত্রের ভিত্তিতে সাত দিনের মধ্যে পাসপোর্ট ইস্যু করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
রিটে সারাদেশে পাসপোর্ট অফিসের অনিয়মের বিষয়ে যথাযথ তদন্ত-সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা কেন অবৈধ হবে না— এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এছাড়া রিটে পাসপোর্ট ইস্যু করার প্রক্রিয়া আরও সহজ করার জন্য নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান কে এম আবু হানিফ হৃদয় এ রিট দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব,পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ও অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রিট শুনানি মুলতবি করেছেন। পরবর্তীতে শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আদেশ দেবেন।
পাসপোর্ট অফিসের অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়। এর মধ্যে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছকে বাঁধা দুর্নীতির চরকি ঘুরছে পাসপোর্ট অফিসে। যেন লাগাম টানার কেউ নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একদিকে কড়াকড়ি করলে আরেক দিকে খুলে দেওয়া হয় ঘুষের নতুন পথ। এভাবে বেশিরভাগ পাসপোর্ট অফিসে রমরমা ঘুষ বাণিজ্য এখনও বহাল। কথিত ‘চ্যানেল মাস্টারের’ মাধ্যমে অধিকাংশ পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন ঘুষ তোলা হয়। ঘুষের অঙ্কের পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা। কমপক্ষে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ ওঠে হাতে হাতে। ঘুষের সদরদপ্তর হিসেবে পরিচিত কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিস। দিনে এখানে ঘুষ ওঠে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা।