মঈন নাসের খাঁন, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি: কুমিল্লা ঝাউতলা এলাকায় অবস্থিত আজিজ ফয়জুন্নেছা টাওয়ারের বাসিন্দারা উৎকন্ঠায় দিন পার করছে। পাশের ভবনের ছয়তলা ভবনের জন্য ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে আজিজ ফয়জুন্নেছা টাওয়ার। ১৪ তলার এই ভবনটিতে ৩০ টি পরিবারের অন্তত দুশতাধিক লোকের বসবাস। ভবনে বসবাসকারী বাসিন্দারের দাবী ভূমির মালিক অবৈধ উপায়ে আরেকটি ভবণ নির্মাণ করেছেন। যার ফলে এখন ভবণটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এমন সমস্যা থেকে পরিত্রানের জন্য বুধবার বিকেলে কুমিল্লা টাউনহলের মুক্তিযোদ্ধা কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলন করেন ভবনের বাসিন্দারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আজিজ ফয়জুন্নেছা টাওয়ারে পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল খায়ের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোঃ আবদুল মালেক ও ভূমির মালিক একেএম জাহাঙ্গীর কবির।
লিখিত বক্তব্য আজিজ ফয়জুন্নেছা টাওয়ারে পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল খায়ের বলেন, আজিজ ফয়জুন্নেছা টাওয়ারে ভূমির মালিক ইকবাল কবীর ভবনের ছাদে মোবাইল ফোনের টাওয়ার স্থাপন করেছেন। আজিজ ফয়জুন্নেছা টাওয়ারের পাশে সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি ছাড়াই আরেকটি ভবণ নির্মাণ করছেন। এছাড়াও জোড় পূর্বক ভবনের বাসিন্দাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদা দাবী করছেন। ভবনের মূল ফটক দখল করে রেখেছেন। গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে বাসিন্দাদের হুমকি দিচ্ছে। যার কারনে এখন ভবনটি ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে পাশে আরেকটি ভবন নির্মাণ করার কারনে দুটিই ভবনই ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এছাড়াও ভবনের বেইজমেন্ট দখল করে ইকবাল কবীর নিজের আইন প্র্যাকটিস করছেন। এ নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইকবাল কবীর বলেন, অভিযোগগুলো মিথ্যা। ১৭-১৮ বছর আগের বিল্ডিং নিয়ে কেন মিথ্যাচার করছে আমি জানি না। আমার ভাই ও সহযোগীরা মিলে এগুলো করছে। এ নিয়ে মামলা ছিলো। আমি মামলায় রায় পেয়েছি।