আজ রোববার বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। ছয় মাসের মাথায় এটি দ্বিতীয় গ্রহণ। আজ সূর্যকে ঢেকে দেবে চাঁদ। আর চাঁদের আড়াল থেকে সূর্যের যে অংশটি দেখা যাবে, তাকে অনেকটা আগুনের আংটির মতো দেখতে লাগবে।
জানা গেছে, বার্ষিক এই সূর্যগ্রহণ ঢাকার আকাশে দেখা যাবে ১১টা ২৩ মিনিটের দিকে। ওই সময় থেকে শুরু হয়ে এই সূর্যগ্রহণ চলবে ২টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত।
সবচেয়ে বেশি গ্রহণ দেখা যাবে ১টা ১২ মিনিটে। এ সময় প্রায় পুরোটাই চাঁদের আড়ালে থাকবে সূর্য। এই সূর্যগ্রহণের স্থায়িত্ব হবে ৩ ঘণ্টা ২৯ মিনিট। তবে সূর্যগ্রহণের সময় কোনোভাবেই আকাশের দিকে খালি চোখে তাকানো যাবে না।
এই গ্রহণে চাঁদের ছায়া সূর্যের ওপর এমনভাবে পড়বে, যাতে সূর্যের চারপাশের আলোর বলয় দেখা যায়। এই গ্রহণে চাঁদের ছায়া সম্পূর্ণভাবে সূর্যকে গ্রাস করতে পারে না। এর আগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর শেষ বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ হয়েছিল।
এশিয়ার অন্যান্য দেশ, আফ্রিকা এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে আজকের সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ার কিছু কিছু অংশে এবং কঙ্গো, ইথিওপিয়া, পাকিস্তান এবং চীনেও দেখা যাবে এটি।
এদিকে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে এই বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না। আকাশ মেঘযুক্ত থাকলে বলয় গ্রহণটি বাংলাদেশ থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ হিসেবে দেখা যাবে যেমনটি গত ২৬ ডিসেম্বর ঘটেছিল।
চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে উল্লেখ করে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে খালি চোখে সূর্যের দিকে না তাকাতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে সোলার ফিল্টার বা ১৩ গ্রেডের ওয়েল্ডিং গ্লাস ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণ করা যাবে বলে জানানো হয়। টেলিস্কোপ, বাইনোকুলার বা ক্যামেরা সরাসরি সূর্যের দিকে তাক করে গ্রহণ পর্যবেক্ষণ বা ছবি তোলা চোখের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে। সোলার ফিল্টার ব্যবহার করে গ্রহণ পর্যবেক্ষণ বা ছবি তোলার উপদেশ দেয়া হয়। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী জানান, করোনা সংক্রমণের কারণে এবার তাদের প্রতিষ্ঠানে পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প করা হচ্ছে না। তবে নিজস্ব স্টাফদের জন্য সীমিত পরিসরে আয়োজন থাকবে। ঢাকা থেকে পরবর্তী সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে আগামী ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
উৎসঃ ইনকিলাব